স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় বিদ্যুৎ ঘাটতি। যে কারণে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ছড়িয়েছে দেশব্যাপী। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ নিয়ে এক রকম যুদ্ধাকালীন পরিস্থিতিতে সরকার। আর এই সঙ্কট কবে নাগাদ কাটবে নেই সেই নিশ্চয়তাও।
পিডিবির হিসাবেই, গত ৫ দিনে চাহিদার চেয়ে কম উৎপাদন হয়েছে ৫শ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত।পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার (৭ই জুলাই) খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি সভায় বসেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী। যাতে আলোচনা হয় বৈশ্বিক জ্বালানির দর, সরবরাহ পরিস্থিতি ও দেশীয় সঙ্কট নিয়ে।
দীর্ঘ বৈঠক শেষে ড. তৌফিক ই ইলাহী জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, উন্নত দেশগুলোও বাধ্য হচ্ছে লোডশেডিং করতে। তাই এমন পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থার সঙ্গে তুলনা করে সবাইকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার বিকল্প নেই।
এ সময় চলমান জ্বালানি সঙ্কটের পেছনে সরকারের দায় আছে কি না- এমন প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, গত ১২ বছরে গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে তিন ভাগের একভাগ। তিনি জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়লাভিত্তিক বড় কয়েকটি কেন্দ্র উৎপাদনে এলে নির্ভরতা কমবে এলএনজি আমদানির ওপর। যা খানিকটা হলেও মুক্তি দেবে লোডশেডিং থেকে।
এ সময় জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের খবর আগেভাগে জানানো যায় কি না- সে বিষয়েও কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।