মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক যুবতীকে অপহরণের পর রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মামলার আসামি ইয়াবা রুবেল সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের আপুছাগাড়ী সড়কের মাথা এলাকা থেকে ওই নারীকে অপহরণের পর নন্দীগ্রাম পৌরসভার ফোকপাল মহল্যার একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌরসভা এলাকার ফোকপাল দক্ষিণপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে রুবেল প্রামানিক ওরফে ইয়াবা রুবেল (৪২) এবং একই এলাকার সোবহান কালু শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৭)। এরমধ্যে ইয়াবা রুবেল শীর্ষ মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বুড়ইল ইউনিয়নের আপুছাগাড়ী গ্রামের ওই যুবতী (২৬) ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করে। সে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই যুবতী আপুছাগাড়ী সড়কের মাথা এলাকায় আসামাত্র হাফিজুর, রুবেলসহ চারজন বখাটে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই রাতেই পৌরসভার ফোকপাল মহল্যার জনৈক হবিবর রহমানের পুরাতন পুকুরপাড়ে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোররাতে ফোকপাল গ্রামের রাস্তায় ওই যুবতীকে ফেলে রেখে লম্পটরা পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার নারী ওই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য ফিরোজ কবির ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে অপহরণ-ধর্ষণের ঘটনার জড়িতরা তথ্য সংগ্রহ কাজে বাঁধা দেয়। ধর্ষণের শিকার নারীকে টানাহেঁচড়া করে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করাসহ হাফিজুর ও ইয়াবা রুবেলকে গ্রেফতার করে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।