বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী বলেন আল্লামা ফুলতলী (র.) নিজে বাহবা পাওয়া বা তাঁকে নিয়ে কোনো স্লোগান দেওয়ার জন্য আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেননি। বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে মানুষ যাতে সঠিক আকীদা ও হক সিলসিলার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে সেজন্যই সংগঠনগুলি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা একে অপরে ভাই ভাই এবং আমাদের এই ভালোবাসা আল্লাহর ওয়াস্তে। তাই আমাদের মধ্যে যেনো কখনো হিংসা বিদ্ধেষ বিজয়ী না হতে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা যেন পরস্পর ভাই ভাই হিসাবে আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল প্রদর্শিত পথে কাজ করতে পারি সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা জানি, পীর ও মুরশিদ ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী (র.) সারাটি জীবন মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের সঠিক আকীদা পৌঁছে দিয়েছেন। ইলমে কিরাত, তাফসীর, হাদীস ও তাযকিয়ায়ে নফস শিক্ষা দেওয়ার জন্য বহু ত্যাগ করেছেন, বিনিময়ে তিনি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়েছেন। আমরা তাঁর রেখে যাওয়া খিদমাতগুলো আনজাম দিতে সচেষ্ট থাকবো।
গত ২১ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার, জেদ্দার একটি অভিজাত হোটেলে আনজুমানে আল ইসলাহ জেদ্দা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
শাখার নেতৃবৃন্দ প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে স্বাগতম জানান।
শাখা সভাপতি জিবাল আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আল জুমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ শেখ হাবিবুল্লাহ মাস্টার দাখিল মাদরাসার সম্মানিত সুপার মাওলানা শেখ মো. শাহিদুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ জেদ্দা শাখার সহ সভাপতি কারী মাহমুদুর রহমান, মোঃ মফিজুল ইসলাম ফাতির, সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ শুয়াইবুর রহমান খাঁন ছায়েম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমেদ, অর্থ সম্পাদক আনিসুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল মুহিব, সহ আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন, মোঃ মনসুর আল মামুন, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসাইন শিমুল, সদস্য আরিফুল হক, আঃ সামাদ, আব্দুর রহীম রায়হান আহমেদ, শিপু আহমেদ,আব্দুল্লাহ কাহের,শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।