এম কে মামুন,ঢাকাঃএলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি এসব ঘৃণিত অপহরনকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।গত ২০/০৮/২০২২ ইং তারিখ ভুক্তভোগী মোঃ শাহ্ পরান (৪২) সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মাধ্যমে জানায় যে, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী লোক তাকে আটক করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিসহ মারধর করছে এবং তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করছে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছালে ঘটনার সত্যতা পায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অদ্য ২১/০৮/২০২২ ইং তারিখ সকাল ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত ০৮ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ(ক) হাছনারা (২৪), জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ।(খ) অঞ্জনা ভূঁইয়া (৪৫), জেলা-ঢাকা।(গ) মোঃ মতিউর রহমান (২৮), জেলা-জামালপুর।(ঘ) মোঃ নাজমুল হুদা (১৫), জেলা-গাইবান্ধা।(ঙ) সরদার নজরুল ইসলাম (২৮), জেলা-বাগেরহাট।(চ) মোঃ সাব্বির মিয়া (১৯), জেলা-গাজিপুর।(ছ) মোছাঃ জান্নাত (২২), জেলা-মাদারীপুর।(জ) মোছাঃ জামিলা নুসরাত (১৮), জেলা- মাদারীপুর।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, হাছনারা আক্তার এর সাথে ০৫-০৬ মাস পূর্বে মোঃ শাহ্ পরানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে হাছনারা আক্তার শাহ্ পরানকে দেখা করার জন্য আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় আসতে বলে । তারপর হাছনারা কৌশলে শাহ্ পরানকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে এসে তাকে মারধর করে ও আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তারা পরস্পর যোগসাজসে ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল ছেলেদের টার্গেট করে তাদের সাথে কৌশলে সখ্যতা তৈরি পরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে এবং পরে দেখা করার কথা বলে বাসায় এনে মারধরসহ আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে হুমকি প্রদান করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো বলে ধৃত আসামীগণ স্বীকার করে। এ চক্রের আরোও কয়েকজন সদস্য পলাতক রয়েছে যাদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযানিক দল তৎপর রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং এই ধরনের অপহরণকারীর বিরুদ্ধে র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।