এস এম সোহেল,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ শীত আসতে এখনও বেশ বাকি। কিন্তু শরৎ শেষে হেমন্তের আভাস নিয়ে আকাশে-বাতাসে শীতের আগমনী বার্তা ছড়িয়ে পড়ার আগেই জমতে শুরু করেছে উত্তরের গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা হোসিয়ারিপল্লি।
শীত সামনে রেখে দেশের মোট চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ শীতবস্ত্র হোসিয়ারিপল্লিতে উৎপাদন হয়। পাকিস্তান শাসনামলের প্রথম পর্যায়ে স্বপ্নবাজ এক যুবকের হাত ধরেই পেপুলিয়া গ্রামে মোজা তৈরি দিয়ে হোসিয়ারিশিল্পের গোড়াপত্তন হয়।কোচাশহর নামক ছোট্ট একটি এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কুটির শিল্পাঞ্চলের প্রধান বিপণনকেন্দ্র এ বাজারটির অবস্থান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের পেপুলিয়া গ্রামের নয়ারহাট। নয়া মিয়া সরকারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছোট্ট বাজারটি এখন সারা দেশে শীতবস্ত্রের পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
নিজেদের প্রচেষ্টায় এখানকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে স্থাপিত ছোট ছোট কারখানার সমন্বয়ে কুটিরশিল্পের জনপদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ এলাকাটি।উদ্যোক্তারা জানান, উত্তরাঞ্চলের ছোট্ট এ জনপদটি এখন হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান। উদ্যোক্তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের উজ্জ্বলতম উদাহরণ হিসেবে এ হোসিয়ারিপল্লি প্রতিষ্ঠিত।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো.অলিউর রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় কুটিরশিল্পের উদ্যোক্তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। ছোট-বড় সব উদ্যোক্তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে তাদের বেকারত্বের হার কমানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে।
কোচাশহর ইউনিয়নের পেপুলিয়া, বনগ্রাম, কানাইপাড়া, ধারাইকান্দি, রতনপুর, শক্তিপুর, ছয়ঘরিয়া, আরজী শাহাপুর, পার্শ্ববর্তী মহিমাগঞ্জ, পুনতাইড়, কুমিড়াডাঙ্গা, গোপালপুর, শিবপুর, কামারদহসহ জেলায় অর্ধশতাধিক গ্রামে শীতবস্ত্র তৈরির অর্ধসহস্রাধিক ছোট-বড় কারখানায় শীতবস্ত্র উৎপাদিত হচ্ছে।