এ.এইচ.রিপন,ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ বরিশাল বিএনপির গণসমাবেশ করার নামে নাশকতার আশঙ্কার কারন দেখিয়ে ভোলা-বরিশাল রুটে ৩য় দিনের মত বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিড বোট চলাচল। অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকে জেলার অভ্যান্তরীন রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা।
ঘাটে এসে অনেকেই বিড়ম্ভনার মধ্যে পড়েছেন। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে অনেকেই ফিরে গেছেন। তবে বেশা নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিশেষ করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বাস-চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
চরফ্যাশন থেকে ভেদুরিয়া ঘাটে আশা বাসিন্দা মাহফুজ আহমেদ জানান, একদিকে ভোলার সাথে চরফ্যাশন বাস চলাচল বন্ধ। ঘাটে আসতে হয়েছে অনেকটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে। রুগী আছে ভর্তি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল হলে। এখন ঘাটে এসে চরম বিড়ম্ভনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। বাড়তি ভাড়া দিবো বলছি তাও স্পিড বোট ছাড়তে চায়না। হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্তে আমরা বিব্রত.
চরফ্যাশন থেকে আসা কামাল হোসেন বলেন, ছুটিতে বাড়ি আসছি। কাজে যোগ দিতে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাবো।
এখন ঘাটে এসে বরিশাল যেতে পাড়ছিনা। লঞ্চ বন্ধ থাকার কারনে। শুনছি বিএনপি সমাবেশর জন্য লঞ্চ,স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে তো সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছে। সরকার এটা দেখা উচিত। কে সমাবেশ করলো, কে কি করলো সেটা আমাদের দেখার বিশষ না। আমরা সাধারন মানুষ পেট নীতি করি। কাজ করলে আমরা খামু কাজ না করলে সরকার তো আর আমাগোরে খাওয়াবেনা।
তুলাতুলি থেকে আসা মনজুরুল আলম নামে এক যাত্রী বলেন, স্পিডবোট বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। যদিও যেত হয় তাও বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ৩৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা করে চাচ্ছে তারা।
একই অবস্থা ঘাটে আসা অধিকাংশ যাত্রীর। আজ শুক্রবার হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী বরিশালে ডাক্তা দেখাতে কিংবা রুগী দেখতে যাচ্ছেন। লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশাল-ভোলা রুটে যাতায়াতাকারী নিয়মিত যাত্রীরা।তবে ভোলা-বরিশাল ফেরী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেরীঘাট কর্তৃপক্ষ।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আসতে বাধা দিতেই এ ধরনের ধর্মঘট কর্মসূচি ডেকে জনগনকে ভোগান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
ভোলা জেলার বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ভোলার অভ্যান্তরীন রুটে অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে ৪৮ ঘন্টা জন্য ধর্মঘট ডেকেছে। এর মধ্যে এই অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে আরো কঠোর কর্মসূচী দিবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে ভোলা নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কেন লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সেটা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া বিষয়টি লঞ্চ মালিক সমিতির ব্যাপার। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) লঞ্চ বন্ধের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।