মোঃ ওসমান গনি ইলি,কক্সবাজারঃ দু’মিনিটে দু’টি গোল করে ফ্রান্সের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন এমবাপে । ফাইনালের শেষ প্রান্তে এসে দুর্ধর্ষ খেলায় কাতারের মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। প্রথমে ফ্রান্সের আক্রমণের সময় বক্সের মধ্যে হাঁটু দিয়ে কোলো মুয়ানিকে মারেন ওটামেন্ডি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপের। পরের মুহূর্তেই আবার আক্রমণ করে ফ্রান্স। ডান দিক থেকে এমবাপেকে লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন কোমান। হাঁবিয়ের সঙ্গে দ্রুত পাস খেলে মাটিতে পড়ে যেতে যেতে অনবদ্য শটে গোল করলেন।
ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও হারের যন্ত্রণায় পুড়তে হল কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। তবে সান্ত্বনা হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন ২৪ বছর বয়সী ফরাসি তারকা। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পর ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা প্রথম খেলোয়াড়ও এমবাপ্পে।
তবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারের চাইতে বিশ্বকাপ ট্রফিটাই হয়তো বেশি প্রত্যাশিত ছিলো এমবাপ্পের। তার হ্যাটট্রিকেই যে ফ্রান্স টানা দুইবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ; তার কাছে ফরাসীদের প্রত্যাশার চাপ ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশ করেনি এমবাপ্পে।
এমবাপ্পের ৮ গোলের মধ্যে ৩ টি এসেছে গ্রুপ পর্বে। ২ টি করেছেন শেষ ষোলোর ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ফাইনালে তো হ্যাটট্রিকই করেছেন।
কাতারের ৮ গোল নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বমোট ১২ গোল করলেন এমবাপ্পে, যা তাকে বসিয়েছে পেলের পাশে। এমবাপ্পের সামনে সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা গোলদাতা হওয়ার।
১৬ গোল করে যা এখন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার দখলে, তার গোল ১৬ টি। এমবাপ্পে আরও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হয়তো ফ্রান্সকে নতুন রেকর্ড এনে দেবে৷