মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি বলেছেন, আমরা মাঝে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু কন্যা এসে আবার আমাদেরকে আলোকিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যেটা আমাদের হৃদয়ের দাবি ছিল, তিনি তা করে দেখিয়েছেন। সে জন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব আকচায় অবস্থিত লোকায়ন জীবনবৈচিত্র্য জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির শুভ দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা স্যালুট জানাই, কারণ আপনি পেরেছেন যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে এবং প্রানের দাবি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করতে। তাকে স্যালুট জানাই আমাদেরকে ২০ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন। আমাদের জন্য সেটি চারটি খানি কথা নয়। আমাদের রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। সেই জন্য আবারো প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যারা এ মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি বানিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তাদেরকে এইটুকু বলবো আপনারা এই যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখছেন, যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে যে, যুদ্ধের মাধ্যমে কিভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশ একটি ঘোষনার মাধ্যমে স্বাধীন হয়। সেই আন্দোলনের নেতা ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ডাকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলাম। উনি যেটা বলেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় এমনি এমনি তো স্বাধীন হয়নি। ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছিলেন, আরও অনেক মানুষ নানাভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সারা দেশের কোন জায়গায় বদ্ধভূমি, কোন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন, ইতিহসা রচনা করেছিলেন কিংবা শাহাদাত বরন করেছিলেন সবদিকের খবর আমি রাখি। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের শাহাদত বরন করলে তাদের দাফন করতে সাহস পেত না। এ রকম হাজার হাজার শাহাদাত বরনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন এটা ব্যবস্থা কর সেখানকার বীর শহীদদের কবর যেন বাংলাদেশ হয়। আমাদের আর সেই যন্ত্রনা সহ্য করতে হয় না। যারা আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করেছিল, রক্তে রঞ্জিত করেছিল তাদের গাড়িতে যখন দেশের পতাকা বহন করতে দেখতাম, আমরা সেটা সহ্য করতে পারতাম না। সেই যন্ত্রনা থেকেও আমরা রক্ষা পেয়েছি। আপনাদের জামান যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখছেন, সেজন্য তাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা তো চলে যাচ্ছি একেক করে। কিন্তু আমাদের ভব্যিৎ প্রজন্ম যারা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরী করবেন তারা যেন এই স্মৃতি দেখে শিক্ষা গ্রহন করেন, তারা যেন মাথা উচু করে চলতে পারেন। আমাদের দাদা, আমাদের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: সাবিরুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ পিপিএম, ইএসডিও’র নিবাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান, ইকো পাঠশালা এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিমা আখতার, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও জেলা আ’লীগের সভাপতি মুহ: সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী আসলাম জুয়েল, ঠাকুরগাঁও
প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইএসডিও’র বিভিন্ন কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ও গন্যামন্য ব্যক্তিবর্গ।