মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দুজন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান মামলার আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে ও কলারোয়ার মোবারক আলী আসামি গোলাম রসুলের পক্ষে সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে আদালতের কাঠগড়ায় মামলার ৩৯ জন আসামি হাজির ছিলেন। এছাড়া নয় জন পলাতক রয়েছেন। ইতোমধ্যে দুইজন আসামি কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন।
এনিয়ে ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে ৭জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলো আদালত।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতিত স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।