চোখে এখন আর জল আসে না
যেন শুকনো জলধর
শুকিয়ে জেগে উঠেছে
ধু- ধু বালুচর ।
তপ্ত রোদে চৈত্রের খরা।
যুগে যুগে বহ কেঁদেছি
চোখের নোনা জলে
লবণাক্ত সাগর,
সেই জল স্রোতে
ভেসে গেছো তুমি ।
কান্নার আজকাল
ব্যতিক্রমী রূপ ।
বাক প্রতিবন্ধীর মত
তপ্ত নয়নে
কারো দিকে ফেলফেলিয়ে
চেয়ে থাকা,
অথবা কারো মাঝে
তোমার অস্তিত্ব অনুভব করা ।
অথবা নিভৃতে বসে থাকা।
এ কান্নার যেন শেষ নেই
কান্নার যে কত রূপ
তা সুস্থতায় অনুভব করি ।
এখন আর রুমাল দিয়ে
চোখ মুছি না
কারণ চৈত্রের তপ্ত নয়ন ।