নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পবিত্র ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি কথাটি যেমন চিরন্তন সত্য, তেমনই সত্য ছিন্নমূল, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে অনেক ক্ষেত্রেই আসে না ঈদের আনন্দ। কারো ঘরে থাকে না খাবার, কারো আবার থাকে না ঈদের আনন্দ করার মত নতুন জামা কাপড় কেনার সামর্থ্যও। তাই দেখা যায় পবিত্র ঈদ তাদের সামনে দিয়ে চলে যায়, কিন্তু এসব অসহায় মানুষের মন থাকে মলিন। এমন দরিদ্র-অসহায় মানুষের মলিন মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিত মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বদেশ প্রপার্টিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন ১৯৭১ সালে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। আজও তিনি পরম মমতায় চাদরে দরিদ্রদের মাঝে ঈদের হাসি ফোটানোর জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-১৭ আসনাধীন বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের মুখে ঈদ উপহার বিতরণ করে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন। এছাড়া রাজধানীর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ঈদ উপহার প্রদান করে অসহায় মানুষদের মলিন মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন তিনি।
গতকাল (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের মিলনায়তনে শত শত দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া গুলশান-বনানী থানা এলাকায়, ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদী আদর্শ বিদ্যানিকেতন, ভাসানটেক থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট ইউনিয়ন কচুক্ষেত, ভাসানটেক থানাধীন ধামালকোর্ট লালাসরাই, ভাসানটেক স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন জনমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন।
পবিত্র ঈদুল-ফিতরে এসব উপহার পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় মানুষের মুখে। শত শত পরিবার যারা নতুন জামা কাপড় পড়ে সন্তান-সন্ততি নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারতো না, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনের এই মহতি উদ্যোগের ফলে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। এই উপহার পেয়ে অসহায় মানুষ আনন্দে কান্নাজড়িত অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
দরিদ্র-অসহায় মানুষদের ভাষ্যমতে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন স্যার যদি আমাগো ঈদ উপহার না দিতো, তাহলে এবার আমাগো মধ্যে ঈদের কোন আনন্দ থাকতো না। স্যারের এই উপহারের জন্য আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবো।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন বলেন, ‘ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মাস হলো রমজান মাস। এই মাসে পুরো মুসলিম জাতি সিয়াম সাধনার মাধ্যমে ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসে। আর সেটার মাধ্যম হলো রোজা ও পবিত্র ঈদ। আমি সবসময়ই দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সেবা করা করি। অনেক অসহায় মানুষ আছে যারা ঈদের নতুন পোশাক কিনতে না পেরে ঈদ আনন্দ করতে পারে না। তাদের সাথেও আমি ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করি প্রতিবারই। তারই প্রেক্ষিতে এই পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঈদের আনন্দ আমি তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছি মাত্র। আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমার জন্য মানুষের মুখে হাসি ফুটলে সেটাই হবে আমার গর্বের বিষয়’।