আনোয়ার হোসেন,কমলনগর প্রতিনিধিঃ কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহে হাপিয়ে উঠেছে জনজীবন। সূর্যের তীব্র প্রখরতায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড। এর মুক্তি দিতে পারে এক পসলা বৃষ্টি। কিন্তু জৈষ্ঠ্যের ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও আকাশে নেই মেঘের দেখা। দেশের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা তীব্র গরমের লাগাম টানতে পারেনি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন কমলনগরের বিশিষ্ট আলেম ওলামা এবং সাধারন মানুষ ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে লরেন্স বাজার ঐতিহাসিক তাহেরিয়া ঈদগাহ ময়দানে কমলনগর ইমাম সমিতির আয়োজনে ইস্তেসকার নামাজ পড়া হয়। এই নামাজে ইমামতি করেন কমলনগরের শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আল্লামা জাহেদ হোসাইন ফারুকী। তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়দের উদ্দ্বোগে এই নামাজের আয়োজন করা হয়।
নামাজে অংশ গ্রহণকারী অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনে গরম, রাতেও গরম। ঘুম ভালো করে হচ্ছে না। শরীর খারাপ করে দিচ্ছে । তাই আমরা নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি।
হাওলাদার জামে মসজিদের ইমাম মাহমুদ ইবনে জাফর বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর আগে আমার দাদাজানের বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায় করেছি তখনও দেখেছি নামাজরত অবস্থায় আল্লাহপাক বৃষ্টি দান করেছেন। আজকেও নামাজের পরপরই বৃষ্টি শুরু হলো আলহামদুলিল্লাহ জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসলো।
ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন বলেন, গরমে শুধু মানুষেরই নয়। পশুপাখি এবং গাছ-গাছালিরও সমস্যা হচ্ছে। গাছের ফল ঝরে যাচ্ছে। এই অবস্থাতে বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন। আমরা নামাজ শেষ করে স্থান ত্যাগ করার আগেই আল্লাহপাক রহমতের বৃষ্টি নামিয়ে দিয়েছেন।
নামাজের ইমাম জাহেদ হোসাইন ফারুকী বলেন, নবী ও রাসুল (সা.) অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের জন্য সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছিলেন। এর জন্য নামাজের এই আয়োজন। আমরা খোলা মাঠে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।