মুশফিক হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে লালমোহন প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্বরণ সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। লালমোহন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার লালমোহন প্রতিনিধি জসিম জনির সঞ্চালনায় লালমোহন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধরণ সম্পাদক ফখরুল আলম হাওলাদার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক শাহীন আলম মাকসুদ প্রমূখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জু তালুকদার, আ.ন.ম শাহজামাল দুলাল, লালমোহন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান লিপু, এনামুল হক রিংকু, নির্বাহী সদস্য আবদুস সাত্তার, মো. জসিম উদ্দিন, লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম দুলালসহ লালমোহনে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
স্বরণ সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন লালমোহন প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান নোমান।
স্বরণ সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৪ সালে নুরুল ইসলাম বাবুল যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর একে একে গড়ে তোলেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। এশিয়ার অন্যতম বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক, নির্মাণাধীন মেরিয়টস হোটেলসহ শিল্প ও সেবা খাতে বিনিয়োগ করে গ্রুপটি। তার প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিল্প কারখানায় হাজার হাজার লোক বর্তমানে চাকুরী করছে এবং তিনি বহু বেকার যুবককে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর ব্যবস্থা করেছেন।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে ১৩ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। পরদিন তাকে ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।