বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে পৃথক স্থান থেকে হুমায়ুন কবির নামে এক যুবক ও নোমান নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মোবারক আলী বিশ্বাস বাড়ির নিজ বসতঘর থেকে হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই বাড়ির মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে। সে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কবির। তাই স্বামীর কাছ থেকে আলাদা কক্ষে থাকতেন তিনি। বুধবার সকাল ৮ টায় স্বামীর কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনও শব্দ না পাওয়ায় ঘরের টিনের ফাঁকা দিয়ে ভিতরে তাকিয়ে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তার স্বামী। পরে তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং থানায় খবর দেন বলেও জানান নার্গিস বেগম।
অপরদিকে বুধবার সকালে নোমান নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নোমান উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর এলাকার মো. আব্দুল বেপারীর ছেলে। নোমানের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে নোমানকে বকা দেয় তার বড় ভাই সোহাগ। এতে অভিমান করে ওইদিন দুপুরে বিষপান করেন সে। পরে তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান নোমান।
লালমোহন থানার এসআই আউওয়াল বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ভোলায় প্রেরণ করা হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।