রানা খান, শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধিঃগাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে বাথরুমে আটকে রেখে স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভ( ২৫) নামের এক কারখানার কর্মকর্তা সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ইশতিয়াক আহমেদ শুভ (২৫) চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার বোয়ালমারি গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি উত্তরপাড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন খানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় সাদ-সান টেক্সটাইল চাকরি করতেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের একটি ভবন থেকে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর থানার পুলিশ। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক সুজন কুমার পণ্ডিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহতের স্ত্রী শোভা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। শুভ যে টাকা বেতন পেত তা দিয়ে সংসার চালিয়ে তেমন কিছু করা সম্ভব হতো না। এ নিয়ে সব সময় মানসিক চাপে থাকত। অনেক সময় হতাশ হয়ে পড়ত। বলত, এই চাকরি ভালো লাগে না। কোথাও চলে যাবো। আমি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করতাম। সোমবার রাতে অফিস থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে কথা বলছিল। আমি বাথরুমে গেলে বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।’ নিহতের মামা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি শুভর সঙ্গে একই কারখানায় চাকরি করি। রাত ১টার দিকে শুভর স্ত্রী শোভা ফোন করে জানায়, শুভ আত্মহত্যা করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি রাত পৌনে বারোটার দিকে শুভর স্ত্রী শোভা বাথরুমে যায়। এ সময় শুভ বাথরুমের দরজা আটকে দেয়। এরপর তার স্ত্রী শোভা অনেক ডাকাডাকি করার পরও শুভর কোনো সাড়াশব্দ মেলে না। এরপর বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে শুভর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। আর শুভর স্ত্রী শোভাকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।’ শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।