রাজশাহী প্রতিনিধি, (গত১১-অক্টোবর) অনূর্ধ্ব ১৭ উপজেলা ভিত্তিক,ফুটবল খেলায় ছেলে ও মেয়েরা অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী স্টেডিয়াম মাঠে,সেখানে খেলোয়ারদের প্রতি,টে দে হিসাবে ৬০০ টাকা বরাদ্দ থাকে,সেখানে দেখা গেছে,প্রতি ছেলে খেলোয়ারদের ৩০০ টাকা,এবং বেঞ্চে থাকা খেলোয়ারদের ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর মেয়ে খেলোয়ারদের ২০০ টাকা দেওয়া হয়,এবং যারা বেঞ্চে ছিল তাদেরকে ১০০ টাকা করে দেওয়া হয়।এই নিয়ে রাজশাহী স্টুডিয়ামে খেলোয়ারদের সাথে সম্পাদকের বাখবিভ্রন্ত সৃষ্টি হয়। উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুলু,তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় জোর করে এই পদটি ধরে রেখেছেন,তার এই কর্মকাণ্ডের শিকার প্রতিটি খেলোয়াড়,তার এই অবৈধ নেতৃত্বের কারণে,আজ পুঠিয়া উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার,অর্বনতি। সেই খেলার সাথে ছিল,উপজেলা ক্রিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান,এবং সহযোগী হিসাবে,ছিলেন কামাল হোসেন। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে,একটি অনির্বাচিত সম্পাদক দীর্ঘদিন ক্ষমতার জোরে,ক্ষমতা আগলে রাখলে,তার দ্বারা আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারিনা,তিনি এভাবেই ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন,আর এভাবেই পুঠিয়া উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার,ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন এবং বিভিন্নভাবে খেলোয়ারদের সাথে দুর্নীতির জাল ফেলছেন,যেখানে টাকার খেলা সেখানেই তিনি হাজির,যেখানে টাকা নেই সেখানে হাজির নেই। এই বিষয়ে,উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার সভাপতি,নির্বাহী অফিসার,এ কে এম নির্ঝর হোসেন বলেন,আমি বিষয়টা জানি না,তবে বিষয়টা যখন জেনেছি আমি খতিয়ে দেখব। রাজশাহী জেলার ক্রিয়া অফিসার,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমরা খেলোয়ারদের টেডে হিসাবে প্লেয়ারা পায় ৬০০টাকা করে, আমরা খেলা শেষে সাথে সাথে সেটি আমরা হস্তান্তর করি,এই খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে আমরা ১২০০০ টাকা করে দিয়েছি,এবং একটি প্লেয়ার প্রতি ৬০০ টাকা করে পাবে,তিনি আরো বলেন,আমাদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা প্রতি খেলোয়ার প্রতি দশ টাকা করে কেটে নিই। সাবেক খেলোয়ার জিতেন বাবু তিনি বলেন,আমি খেলা চলাকালীন আমি ওখানে ছিলাম,কিন্তু টাকা ভাগাভাগির সময় একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়,সম্পাদক মহোদয়ের সাথে,প্লেয়ারা বলছে অন্য উপজেলা প্রতি খেলোয়াড় পাচ্ছে,৬০০ টাকা করে,আর আমাদেরকে দিচ্ছে সম্পাদক সাহেব,ছেলেদের ২০০ থেকে ৩০০,টাকা ও মেয়েদের ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে,পরে তিনি আরো বলেন,আমি ওখানে থাকায় খেলোয়ারদের কে বুঝিয়ে নিয়ে চলে আসি,তাছাড়া ওখানে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো,তিনি আরো বলেন,এই সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে এই দুর্নীতির সাথে জড়িত,এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে,দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। যুগ্ম সম্পাদক পুঠিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,মোকলেসুর রহমান মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এই টাকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা,জানে সাধারণ সম্পাদক টুলু,বরঞ্চ আমি নিজের পকেটের টাকা একটি ম্যাডামকে দিয়েছি। টুলুর সহযোগী কামাল হোসেন বলেন,আমাদের প্লেয়ারের,অনেকের কাগজ পাতি ছিল না,সেই ক্ষেত্রে আমরা ১১ জনের টাকা পেয়েছি,এবং তিনি আরো বলেন,তোমরা যত খুশি লেখার দরকার লিখতে থাকো,উপজেলা ক্রিয়া সাধারণ সম্পাদক,মফিজুল ইসলাম টুলু মুঠোফোনে,বিষয়টির জানতে চাইলে এড়িয়ে যান। আমরা যতটুক জানতে পেরেছি,তিনটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল রাজশাহী স্টুডিয়াম মাঠে পুঠিয়া উপজেলার পক্ষ থেকে,তিনটি খেলায় সেখানে পেয়েছে মোট ৩৬ হাজার টাকা, প্রথম দুই খেলায়,ছেলে খেলোয়ারদের দিয়েছে ৩৬ জনকে ৩০০ টাকা করে,আর ব্রঞ্চে বসে থাকা খেলোয়ারদেরকে দিয়েছে ২০০ টাকা করে,মোট খেলোয়ারদের টাকা দিয়েছে,৯৬০০, আর মেয়ে খেলোয়ারদের দিয়েছে প্লেয়ার প্রতি,২০০ টাকা করে,আর বেঞ্চে থাকা খেলোয়ারদের দিয়েছে ১০০ টাকা করে। এবং এখানে দেখিয়েছে,শুকনা খাবার মুড়ি বাবদ ৪০০ টাকা,হয়তোবা খেলোয়ারদের মনে হয়,ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল,কারণ তাছাড়া এই রৌদ্র গরমে,ফুটবল খেলোয়ারদের শুকনা খাবার মুড়ি। তিন খেলায় মোট টাকা ৩৬ হাজার আমরা তদন্ত করে পেয়েছি,গাড়ি ভাড়া ৮ হাজার টাকা,মুড়ি বাবদ ৪০০ টাকা,পুঠিয়া দাউদের হোটেলে ২০ জন খেয়ে ১০০০ টাকা,আর টাকা গেল কোথায়,খেলোয়ারদের মনে প্রশ্ন জাগে,আমাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে,ব্যবহার করে বিভিন্ন ইভেন্টে খেলাধুলায় হাতিয়ে নিচ্ছে,আমাদের অর্থ দুর্নীতিবাজ,অবৈধভাবে থাকা সম্পাদক,মফিজুল ইসলাম টুলু ও তার সহযোগীরা। পুঠিয়া উপজেলা বাসির একটাই দাবি,এবং খেলোয়ারদের কথা,সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দিয়ে,ভালো একটি উপজেলা ক্রীড়া সম্পাদক আমাদের মাঝে আসুক,সে যেন পুঠিয়া উপজেলাকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে পুরো জাতির কাছে তুলে ধরতে পারে,এমন একটি সম্পাদক আমরা চাই।