মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,সড়ক জনপদ বিভাগের জমি দখলে করে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। ফলে সময় মতো উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় জমি দখলমুক্ত করতে অনেকটাই ব্যর্থ সওজ। আর এ সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমি দখলের পর হাত বদলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমন অভিযোগ যেন এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোনো সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ঠাকুরগাঁও সদরের বাসস্ট্যান্ড, মুন্সিরহাট, টাংগন ব্রীজ এলাকার জলেশ্বরীতলা, ভুল্লীসহ সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার বেশকিছু স্থানে সড়ক জনপদ বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখলের পর হাত বদলে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা। এসব স্থানে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা বছরের পর বছর দখল করে থাকলেও উচ্ছেদে কার্যত প্রদক্ষেপ নেই সড়ক জনপদ বিভাগের। শুধু তাই নয় সড়ক জনপদ বিভাগের সুত্র বলছে, জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র টাংগন ব্রীজ এলাকায় সড়কের পাশে কয়েক বছরে ১০০টি পরিবার অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এতে সংকুচিত হয়েছে সড়ক জনপদ বিভাগের সম্পত্তি। আর এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নজরে আসে সড়ক জনপদ বিভাগ প্রধান কার্যালয়ের। সড়ক জনপদ বিভাগের অবৈধ স্থাপনার তালিকা থেকে জানা গেছে, শ্রী নাগর, সুবাস, শুকুমার, মইরম বেগম, মাহফুজ, মানিক সরদার, রাজু,গোপাল, হাতেম, নিজাম,আমিরুল ইসলাম,বাবু, মনা, মাওলানা আলম মোস্তাফা, লিয়ন, রহমত, আব্দুল মোতালেব, আলমগীর বাদশা, রবিউল, সহেল রানা,মাহামুদ হাসান, বাবু, রানা ভুইমালি, পলাশ, অবাইদুর, রাজু, তপন ভুইমালী, মকলেছ, সুজন ভুইমালি, ময়না, নুরু, আসমা, মোঃ আইনুল, সহিদুল ইসলাম, কসিরুল, ঝর্ণা, রিনা বেগম, জহরুল ইসলাম, রেজিনা, ইসমাইল, জয়নব, উজ্জ্বল, সুজন, সোহাগ, কহিনুর, বিল্কিস, রুনা, মরিয়ম, বাচ্চু, মেরি, কার্ত্তিক লাল, রুপ বেগম, মনির মনু, মনজু, দ্রপদী, মোঃ আলী, আবুল কালাম, জয়নাল, হামিদ সরকার, নূরবানু, হোসেন আলী, লাভ্লী, ছিদ্দিক, মফিজুল, মতিয়র রহমান, বাবু, সেলিম, হাকিম প্রমোর, সাইফল আলম, আব্দুল আজিজ, লাল মিয়া, আবুল করিম, মোঃ জামাল, আঃ বাসেদ, মনির হোসেন, রজব আলী,আব্দুর ছাত্তার শেখ, আবুল হোসেন, জহিরুল ইসলাম,আব্দুল আজিজ, সাইফুল ইসলাম, কারুক ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম,সাদেকুল ইসলাম,মোজাম্মেল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মিঠুন, জীবন সরকার, পারভীন, মাসুদ রানা, মেহেদী, মানিক, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ মমিনুল, মোঃ মামুন, লিটন চৌধুরী, হ্নদয় চৌধুরী, জীবন সরকার, পারভীন ও মাসুদ রানা। এ অবস্থায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিতে ২০২০ সাল থেকে কয়েক দফায় চিঠি দেয়া হয় ঠাকুরগাঁও সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে। কিন্তু সড়ক জনপদ বিভাগ অজ্ঞাত কারনে শুধু চিঠি আদান প্রদান করেন ৩ বছর ধরে। আর এ সুযোগে ওই এলাকায় গড়ে উঠছে আরো নতুন স্থাপনা। আর এসব দখলকারিদের মধ্যে অনেকে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা। শুধু তাই নয় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনারও অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ দখলদারিত্বের কারনে ওই এলাকার অবস্থিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে ব্যহতের পাশাপাশি রাস্তার প্রসস্তকরণে বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা রাতারাতি গড়ে ওঠে না বলে জানান স্থানীয়রা। তারা বলেন, সওজের লোকজনের চোখের সামনেই ভবনগুলো গড়ে ওঠে। এটা ঘটে সওজের লোকজনের জ্ঞাতসারেই। ঘর তোলার সময় সওজের লোকদের ম্যানেজ করেই ঘর তোলা হয়েছে। এই ‘ম্যানেজ করা’র ফলেই সরকারি জায়গা–জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠা সম্ভব হয়। এসব বন্ধ করতে হলে সরষের মধ্যেকার ভূত তাড়াতে হবে। এবিষয়ে সড়কের জমি দখল করে থাকা জয়নাল আবেদীন, সাকিব আহম্মেদ, ফরিদ ও মালেকসহ অনেকে জানান, জমি ফাঁকা করতে অনেক আগে সড়ক বিভাগ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। পরে আর কেউ আসেনি। আমরা এভাবেই আছি। সড়ক বিভাগের লোকজন ব্যবস্থা নিলে আমরা বিকল্প পথ দেখবো। এ ব্যাপারে সড়ক ঠাকুরগাঁও সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, সড়কের জমি দখল হচ্ছে সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান করা হচ্ছে। তবে টাংগন ব্রীজ।