মেহেরপুর প্রতিনিধি; ১৬-১০-২০২৩ মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় মাদক বিক্রেতা ঝন্টু ও তার বাহিনীর দফায় দফায় হামলা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোহেল রানা ও তার পরিবার। সোমবার সকালে স্থানীয় একটি রেস্টে হাউজে সংবাদসম্মেলন করে। লিখিত অভিয়োগে সোহেল রানা বলেন, গত ৭/৮দিন আগে আমার চাচাতো ভাই মাদকাসক্ত আবির গলাই দড়ি দেই। আমারা আবিরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এরপর আমরা ও গ্রাম বাসী মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। এ কারনে বৃহস্পতিবার স›ধায় আমার বাড়ি সংলগ্ন মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষে বের হবার সময় লাল চাদের ছেলে কুখাত্য সন্ত্রাসি ঝান্টু, তার সহযোগি চাদ আলী লায়ন সহ বেশ কয়েকজন কাঠের বাটাম , রামদা, বাশের লাঠিসোঠা নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে । তাদের হামলায় আমি রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটাইয়া পড়ি। আমার ভাই জুয়েল রানা ঘটনা শুনে আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মেরে রক্তাক্ত জখম করে । তার মাথার খুলি মারাত্বক ভাবে ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে সে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। আমি আমার ভাই রাজশাহিতে চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থাই ঝন্টু বাহিনী দফাই দফাই আমার বাড়িতে হামলা চালায় । আমার বাবার বাম চোখে মেরে অন্ধ করে দিয়েছে। মা ও স্ত্রী কে বেধড়ক মার পিট করেছে। আমার মটরসাইকেল ভেঙ্গে দিয়েছে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ১৫ লাখ টাকার মালা মাল লুট করে নিয়ে গেছে। থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ ঘটনার ভিডিও দাবি করেছে। কিন্তু আমাদের কাছে কোন ভিডিও নেই। ঝান্টু একজন মাদকবিক্রেতা কুখাত্য সন্ত্রাসি তার নামে ইতিপূর্বে মেহেরপুর আদালতে খুনসহ একাধিক মামলা চলমান। তার ভয়ে গ্রামের কেউ কথা বলতে পারছেনা। ঝন্টু বাহিনীর ভয়ে বর্তমানে আমরা শুক্রবার বিকাল থেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে মেহেরপুর শহরে এক আত্মিয়র বাড়িতে বসবাস করছি।