মুশফিক হাওলাদার বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উত্তর বাজারে হরেক রকম ঔষধী গাছ-গাছরা দিয়ে শরবত তৈরি করছেন হাফেজ আবদুর রহমান। তার শরবত পান করে সবাই উপকৃত হচ্ছেন। শরবত বিক্রি করে চলে তার সংসার। লালমোহন বাজারের উত্তর ও দক্ষিণ বাজারে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আঃ রহমানের শরবতের দোকান। সকাল ৮ থেকে শুরু রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে তার বেচাকেনা। লালমোহনের প্রায় সবাই তাকে চিনে এবং জানে তার কাছে ঔষধী শরবত পাওয়া যায়। তার কাছে তিন মূল্যের শরবত পাওয়া যায়, ১০ টাকা ২০ টাকা ও ৫০ টাকা গ্লাস। একটা গোটা অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী ) দিয়ে তৈরি ৫০ টাকা,অর্ধেকটা দিয়ে ২০ টাকা ও তিন ভাগের একভাগ দিয়ে ১০ টাকা। শরবতে অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী ) সাথে যে সব ঔষধী গাছ-গাছরা দেন আঃ রহমান-আমলকি, বহেরা, হরিতকি, তাল মাখনা,জংলা তিল,বেলের সুর,শিমুল দানা,অর্জুনের বাকল,শতমুল ও বির্জমুলের পাউডার,তোকমা দানা, চিরোতা,শিমুলের পাউডার ও আঁখের দানা গুড়। এই সব ঔষধী শরবত খেয়ে সবাই উপকৃত হয়। তাই বিভিন্ন শেণি পেশার মানুষ আঃ রহমানের শরবত খেয়ে যায়। কলেজ শিক্ষক হারুন অর রশীদ তার দোকানে শরবত খেতে আসলে তার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ঔষধী শরবত শরীরের উপকারের জন্য সব সময় আমি সেবন করি। তার শরবতে অনেক প্রকার ঔষধী গাছ-গাছরা মিশানো থাকে,যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। উত্তর বাজারের চা ব্যবসায়ী বেল্লাল বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমি এক গ্লাস করে শরবত পান করি। এটা আমার দীর্ঘদিন ধরে খেতে খেতে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। এছাড়াও এই ঔষধী শরবত খেয়ে আমি অনেক শারীরিক উপকার পাই। কথা হয় ঔষধী শরবত বিক্রেতা আবদুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমার ঔষধী শরবত বিভিন্ন জাতের ঔষধী গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরি করি। এই সব গাছ-গাছরা মানুষের দেহে অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে গ্যাষ্ট্রিক, আমাশয়, পেট ফাপা, বদহজম, পেটের যাবতীয় সমস্যা,শরীর দুর্বলতাসহ একাধি উপকার করে থাকে। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ গ্লাস শরবত বিক্রি হয়। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। সংসারে ১ মেয়ে ১ ছেলে। আল্লাহ রহমতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অনেক ভাল আছি।