ছবি আছে শারদীয় দুর্গোৎসবে মাতবে গোটা দেশ ঈদগাঁওতে চলছে জোর প্রস্তুতি মোঃ ওসমান গনি (ইলি) ঈদগাঁও কক্সবাজারঃ আজ বাদে কাল বর্ণিল উদযাপন শুরু হয়ে যাবে। শারদীয় দুর্গোৎসবে মাতবে গোটা দেশ। ভেতরে ভেতরে চলছে জোর প্রস্তুতি। পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মহাষষ্ঠী। উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা এদিন শুরু হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলবে ঠাকুর দেখা। দলবেঁধে একেক দিন একেক এলাকার পূজা দেখতে যাবেন ভক্তরা। ধর্মীয় আচারের পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সংগীত নৃত্যসহ নানা পরিবেশনায় ছড়িয়ে পড়বে উৎসবের রং। মণ্ডপের বাইরে ফুটপাতে ফাঁকা জায়গায় ছোট খাটো মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুবেল মল্লিক। সাধারণ সম্পাদক নারায়ন দে বলেন মেলায় লোক ও কারুশিল্পের উপস্থাপনা চোখে পড়বে। মুড়ি-মোয়া-নাড়ুর পসরা বসবে। যাত্রাপালারও প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে বর্ণিল উৎসবের অপেক্ষা। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ‘ধর্ম যার যার/উৎসব সবার।’ বাঙালিত্বের বোধ নিয়ে সবাই, সব ধর্ম বর্ণের মানুষ যোগ দেবেন উৎসবে। ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন ২০ অক্টোবর শুক্রবার শুভ বিল্বষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ঈদগাঁও-তে প্রায় ১৭ টি পূজা মন্ডপ গুলো আমি ও ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবিরকে সাথে পূজা মন্ডপ পরির্দশন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় কালী মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উত্তম রায় পুলক সাধারণ সম্পাদক সুকুমার মল্লিক বলেন,দুর্গার আগমন, প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত আছে। দেবী দুর্গা ও তাঁর পুত্র-কন্যার নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে মর্ত্যলোকে সারা বছর কেমন যাবে। প্রতিবছর দুর্গার আগমন ও প্রস্থান সাধারণত একই বাহনে হয় না। যদি কোনো বছর তেমন হয়‚ তাহলে তা খুবই অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এ বছর দুর্গার আসা ও যাওয়া, দুটোই হবে ঘোড়ায়। ফলে আগামী এক বছর অশুভ প্রভাব থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবকে বর্ণিল ও আনন্দঘন করে তুলতে বিপুল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারাদেশের ন্যায় ঈদগাঁওতে প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই। এরই মাঝে অনেক এলাকায় মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এবারও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মণ্ডপ নির্মাণ করা হবে।