জুলফিকার হায়দার,বিশেষ প্রতিনিধিঃচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় মিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন। চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর মুনজিরা খাতুন মিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) ময়নাতদন্ত শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মিমের লাশ দাফন করা হয়। দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আ: রহমান সোমবার জানান, নিহতের স্বামী সুরুজ মিয়া দর্শনা থানায় হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ মুনজিরা খাতুন মিমের একমাত্র ভাই আলমগীর হোসেনকে আগের দিন রাতে সদর হাসপাতাল থেকে দর্শনা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে এবং সোমবার তাকে মিম হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে আটক দেখায়। তবে তার মা আসুরা বেগম সোমবার দুপুরের দিকে তার দর্শনার মোহাম্মদপুর বাড়িতে সাংবাদিকদের জানান শনিবার রাতে ঈশার নামাজ পড়ার উদ্দেশে আমার ছেলে আলমগীর (২৮) বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে পিটাতে থাকে। তার চিৎকারে আমি ও আমার মেয়ে উদ্ধারে গেলে ছেলেকে ছেড়ে দেয়। পরে মেয়ে মিম নিখোঁজ হয়। পুলিশ এসে আহত ছেলে আলমগীরকে সদর হাসপাতালে পাঠায় ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ মুনজিরা খাতুন মিমকে (৩০) উদ্ধারের চেষ্টা করলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন রোববার ভোরে বাড়ির পাশে বেগুন ক্ষেতে মিমের জবাইকরা ও চোখ উপড়ানো দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এ দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সোমবার বিকাল ৪টায় পুলিশ সুপারের পক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তদল দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম আরমান আলির বাড়িতে ঢুকে ছেলে আলমগীরকে মারপিট করে ধরে নিয়ে যায়। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন মা ও বোন মিম উদ্ধার করতে গেলে মিম নিখোঁজ হয়। পরদিন মিমের লাশ বাড়ির পাশে বেগুন ক্ষেতে পাওয়া যায়।