মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ডোমারের বামুনিয়া ইউনিয়নের মৎস্যচাষী সপিয়ার রহমানের পুকুরে রাতের আধারে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে চাষকৃত পুকুরের সকল মাছ মেরে ফেলেছে।
জানা যায় সোমবার(০১/০১/২০২৪ইং) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় ইউপি সদস্য মৎস্যচাষী সপিয়ার রহমানের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক একশত বিশ মণ বিভিন্ন জাতের ছোটবড় মাছ মেরে ফেলেছ দূর্বিত্তরা।যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা।মৎস্যচাষী সপিয়ার রহমান জানায় আমার প্রায় সাড়েচার একর জমির উপর মাছ চাষের প্রজেক্ট রয়েছে যেখানে ছোটবড় ১০ টি পুকুর রয়েছে।আমি দীর্ঘদিন ধরে কার্পজাতীয় মাছের পাশাপাশি তেলাপিয়া,কই,শিং,মাগুর এবং গুলশা মাছ চাষ করে আসছি।এখানে আমি লাভবান হচ্ছি এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।অন্যদিকে মাছ চাষের মাধ্যমে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদাও পুরণ করতে পাচ্ছি।কিন্তু বিগত তিন চার বছর থেকে এলাকার দুএকজন অসাধু ব্যাক্তি শত্রুতার জেড়ে আমার ক্ষতি করে যাচ্ছে।এবারের ন্যায় ২০২০ সালেও আমার বেশ কয়েকটি পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ২০০ মণ তেলাপিয়া মাছ এবং ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় ও অনুরূপভাবে প্রায় ১৫০ মণ ক্যাটফিশ মাছ গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মেরে ফেলেছিল।সেসময় আমি ডোমার থানায় জিডি করি যার নং -২৩১ তাং ৫/০৫/২০২০ইং।সর্বশেষ ২০২৪ সালের প্রথম দিনেই আবারও আমার দুইটি পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে আমার ১২/১৩ লক্ষ টাকার সব মাছ মেরে ফেলেছে।আমি এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউ এন ও মহোদয়,মৎস্য অফিসারকে অবহিত করি এবং ০২/০১/২০২৪ ইং তারিখে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ করি।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুরের পানির পি এইচ এবং আ্যমোনিয়া পরীক্ষা করেছি সবগুলো পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক ছিল।