ভোলা জেলা প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ভোলার বোরহানউদ্দিনে বইছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। চলতি মাসেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার খবরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। তবে বোরহানউদ্দিনের প্রতিটি চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট,বাজার,অফিস-আদালত,
রাজনৈতিক অঙ্গন সর্বত্রই নির্বাচনী আলোচনায় সাধারণ ভোটারদের মুখে
শোনা যাচ্ছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ মিয়ার নাম।
এ বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, আগামী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদকে ই
উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এখানকার সাধারণ ভোটাররা।
জানা গেছে,রাসেল আহমেদ মিয়া রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা,বর্ষীয়ন রাজনীতিবিদ
মরহুম বশির আহম্মেদ মিয়া ছিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের ৩৮ বছরের নির্বাচিত সফল জনপ্রিয় চেয়ারম্যান,বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
সেখান থেকে বাবার হাত ধরে সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী ভোলা ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বর্ষীয়ন রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে অভিবাবক মেনে রাজনীতি শুরু করেন তিনি,ছাত্রজীবনে ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন রাসেল আহমেদ,১৯৯৮ সালে তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবার্চিত করা হয়,পরে জামাত- বিএনপির শাসন আমলে সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রাসেল আহমেদ এবং ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টানা ২ বার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি এবং ২০১৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২ বার মেয়াদে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন রাসেল আহমেদ এবং ২০১৪ সালে বিপুলে ভোটে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথম জয় লাভ করেন রাসেল”একই পদে ২০১৯ সালে ফের ২য় বার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল আহমেদ এবং বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে ২৬ ডিসেম্বর ১৮ থেকে ২৫ এ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত)পদে দায়িত্ব রত ছিলেন রাসেল আহমেদ।
রাসেল আহমেদ মিয়া বর্তমানে ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুলের নেতৃত্বে রাজনীতি করে যাচ্ছেন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে তফসিল শুরুর আগে এবং পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত নৌকার মনোনীত প্রার্থী আলী আজম মুকুলের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে গেছেন এবং বিজয় ছিনিয়ে আনা পর্যন্ত মাঠে ছিলেন
রাসেল আহমেদ স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
তাইতো নিজ দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণেই মনস্থির করেছেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার রাসেল আহমেদকে জয়লাভ করাবেই। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে রাসেল আহমেদ কে ই আগামী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। এ উপজেলার উঠতি ভোটারদের মতে রাসেল আহমেদ মিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবার্চিত হবার পর স্থানীয় রাজনৈতিক যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে তার বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
ভোটাররা বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই সোচ্ছার ভুমিকা রেখেছেন।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেন,রাসেল মিয়া মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্ধমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায় তাই তারপ্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী এবার রাসেল আহমেদ কে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী রাসেল আহমেদ মিয়া জানান,আমি ছাত্র জীবন থেকে আমাদের নেতা আমার অভিবাবক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ সহোচর জাতীয় নেতা জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর হাত ধরে রাজনীতি করেছি,আমার বাবা মরহুম বশির আহম্মেদ মিয়া নেতার নির্দেশে যেভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন আমি ও তাই করছি,আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ ও বর্তমান ভোলা ২ আসনের পর পর ৩ বারের নিবার্চিত জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুলের নির্দেশে সকল কাজ করে যাচ্ছি,আমি বর্তমানে বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের থেকে নৌকার মনোনয়ন চাচ্ছি,আমি আশা রাখছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অভিবাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ,আমাদের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল মহোদয় সকল দিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনীত করবেন।তিনি বলেন,আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নাই তবে এইটুকুই চাওয়ার আছে যেন বোরহানউদ্দিনের সাধারণ জণগনের জন্য,বোরহানউদ্দিন এর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করে যেতে পারি এটাই পরম পাওয়া হবে।