মাসম বিল্লাহ, বগুড়া সংবাদদাতাঃ বগুড়া শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর বাজারস্ত হাইওয়ে মহাসড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও খাবার হোটেল উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প। রোববার বেলা ১১ থেকে মির্জাপুর বাজার এর সামনে থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৪শ মিটার রাস্তার শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল ফয়সল, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট মাসুদ রানা, ফরিদুজ্জামানসহ অন্যন্য পুলিশ কর্মকর্তা। আবুল ফয়সল বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত মির্জাপুর বাজার এলাকায় হাইওয়ে মহাসড়কের রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট, খাবার হোটেল গড়ে তুলেছিল যার ফলে গাড়ি চলাচলে নানা সময় দূর্ঘটনা ও রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হচ্ছিল। যানযট মুক্ত রাস্তা রাখতে হাইওয়ে মহাসড়ক প্রশস্থ করার পর থেকেই এ সকল দোকানপাট স্থাপন করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে দোকান পাট অন্যত্র সড়ানোর জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের বলা হলেও কোন কর্নপাত করেনি দোকান মালিকরা। তাদের বলা হয়েছিল মহাসড়ক থেকে হকাররা যেন দোকান নিয়ে যায়।
তা না হলে উচ্ছেদ করা হবে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’ আমরা আসার আগেই তারা বেশির ভাগ মালপত্র সরিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, ‘হাইওয়ে মহাসড়কের ধুনটমোড়, শেরুয়াবটতলা এলাকাসহ হাইওয়ে মহাসড়কের পুরো এলাকায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অভিযান শুরু করার আগে ব্যবসায়ীদের সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। অনেকেই তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ভাসমান দোকান ও চৌকি সারাননি। আমরা বুলডোজার দিয়ে এসব গুড়িয়ে দিচ্ছি, মাটিগুলো সমান করে দিয়েছি যেন গাড়ি সরে যাওয়ার পর আবার বসতে না পারে। ’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, একটি চক্র হাইওয়ে মহাসড়কে ও রাস্তায় দোকান বসিয়ে প্রতিদিন এখান থেকে চাঁদা আদায় করে। হকার উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। ‘ব্যবসা করার বিরুদ্ধে কারোরই অবস্থান নেই কিন্তু সেটা হাইওয়ে মহাসড়কের জায়গা ও ফুটপাত দখল করে কেন হবে? হাইওয়ে পুলিশের এ কাজের জন্য সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে বলে এলকাবাসী জানান। তারা আরও বলেন হাইওয়ে মহাসড়কের জায়গায় দোকান থাকলে গাড়ি চলাচল করতে পারে না এমনকি বড় ধরনে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। মহাসড়কে দোকান পাট ও খাবার হোটেল না থাকাই ভাল।’