এস এম মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক যুবককে পুলিশের চাকুরীর দেওয়ার প্রলোভনে ভূয়া ডি,এস,বি সদস্য পরিচয় দিয়ে শামীম নামে এক প্রতারক যুবকের অভিভাকের নিকট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্বসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে প্রতারিত যুবকের পিতা শুক্রবার সকালে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকের বাড়ী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সিধন গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে। সে ঘোড়াঘাট নয়াপাড়ার জনৈক আসাদের মেয়েকে বিবাহ করে শশুড় বাড়ীতেই অবস্থান করছিলো। থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ওই প্রতারক শামীমকে তার শশুড়বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যপারে ঘোড়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান দুপুরে ঘোড়াঘাটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করেন। এ সময় হাকিমপুর-ঘোড়াঘাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত শামীম মিয়া একজন প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
সে নিজেকে একজন ডি,এস,বি ও কখনও পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং উর্ধতন অফিসারদের সাথে তার সুসম্পর্ক আছে বলে প্রচার করে। এরই ধারাবাহিকতায় সে ঘোড়াঘাট থানার এস,কে,বাজার গ্রামের ঘোড়াঘাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম রাজুর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং তার ছেলে ওমর ফারুখ ফয়সালকে পুলিশে চাকুরী নিয়ে দিবে মর্মে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা গ্রহন করে। কিচুদিন পর চাকুরী প্রার্থী ফয়সালের পরিবারকে পুলিশ সদর দপ্তরের প্যাডে একটি সুপারিশ পত্র ধরিয়ে দেন প্রতারক শামীম। সেই সুপারিশ পত্রে অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান বিপিএম (বার) এর স্বাক্ষর করা আছে। পরবর্তিতে চাকুরী না হলে বিবাদী রাজু মিয়া তার কথাবার্তা ও কার্যকলাপ দেখিয়া প্রতারনা বুঝতে পেয়ে ঘোড়াঘাট থানায় এজাহার দায়ের করলে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতারক শামীমকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরন করেন।