এস এম রেদ্বোয়ান, চুয়াডাঙ্গা অফিসঃ চুয়াডাঙ্গা থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে চড়ে কোটি টাকার বেশি স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছিলেন এক নারী চোরাকারবারি। পথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) হাতে ধরা পড়েন তিনি। রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সীমান্তবর্তী ছয়ঘড়িয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয় সেই চোরাকারবারিকে।
এ সময় তাকে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে এক কেজি ৩২০ গ্রাম (১১৩.১৬ ভরি) ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আটক নারী চোরাকারবারির নাম তাছলিমা খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন কামারপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে তিনি।
রোববার দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দর্শনা থানার অন্তর্গত ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধীন সুলতানপুর বিওপি কমান্ডারের নেতৃত্বে ছয়ঘড়িয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকযোগে কয়েকজন যাত্রী ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্ত অভিমুখে যাওয়ার পথে বিজিবি সদস্যরা ইজিবাইক তল্লাশি করেন। তল্লাশি কার্যক্রম চলাকালে ইজিবাইকে অবস্থানরত তাছলিমা খাতুন নামের এক নারী সন্দেহজনক আচরণ করেন।
পরে ওই নারীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার শরীরের কোমরের লুকানো অবস্থায় এক কেজি ৩২০ গ্রাম (১১৩.১৬ ভরি) ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, আটক নারী চোরাকারবারিকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।