এম এ হানিফ রানা,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ” ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ ” বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গানটির সাথে বাংলাদেশের সকলেই পরিচিত। ঈদের আগমন এবং দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আত্মার এক খুশির উৎসবকে বুঝানো হয়েছে সুরে সুরে। কিন্তু আদৌ কি বর্তমান পরিস্থিতিতে ঈদ আসলে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার মতো অবস্থায় আছে?
হয়তো অনেকেই বলবেন ঈদ আনন্দ হলেও আমাদের জন্য বেদনার মতো।
যেখানে সারাবছর সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপন্যের বাজারে যপনো প্রতিদিন একেকটা পন্য আগুন লাগার মতো অবস্থায় পৌছেছে। ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে সব। সারাবছর বিভিন্ন অভিযান এবং বয়কটের স্লোগানেও নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না বাজার দর। তারপরও ঈদ এসেছে। খেতে হবে গোশত, চিনি,সেমাই, পোলাও।
সব ঠিক থাকলে হয়তো আগামী ১১ তারিখ উদযাপিত হবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। কেমন যাচ্ছে রমজানের শেষ এবং ঈদের আগের নিত্যপন্যের বাজার দর। গাজীপুরের বাজার গুলো থেকে সর্বশেষ তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
গরু খাসির গোশত বরাবরই দাম বেশি চলে আসছে এবং এখনও তাই। বিভিন্ন জায়গায় কিছু কম দামে গোশত পাওয়া গেলেও সেটা অতি নগন্য। গাজীপুরের জয়দেবপুর গোশত বিতান দোকানগুলোতে আজ গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে। খাসির গোশত ১১০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগী ২৪০-২৬০ দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পোলার চাউল ১০০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন ১৭০ টাকা কেজি, আলু ৪৮ টাকা, এ্যাংকর ডাউল ৮০ টাকা, ডাবলা ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা লিটার, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, জিরা ৭২০ টাকা,দারুচিনি ৫৫০ টাকা, এলাচ ২৬০০ টাকা, ডাল বড় ১১০, কিসমিস ৭০০ টাকা, পিয়াজ ৬০ টাকা,কুলসন সেমাই ৪৫ টাকা, লাচ্চি সেমাই ( খোলা) ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ঈদের আগে স্বস্তি মিলছে কিছুটা সবজির বাজারে। ঈদে মাছ মাংসের সাথে সালাদ খুব প্রয়োজন। শশার কেজি মিলছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের কেজি ৫০-৬০ টাকা,লেবু আকার ও জাত বেধে ২০-১৪০ টাকা হালি। ঢেড়শ পাচ্ছেন ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।
বর্তমান বাজার পরিস্হিতি নিয়ে আব্দুল মালেক নামে এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান। সারাবছরই বাজারের দাম আমাদের দৌড়ের উপর রাখছে। একদিন পেয়াজে আগুন তো আরেকদিন চিনিতে আগুন। টালমাটাল একটা অবস্থা আমাদের মতো নিন্ম ও মধ্যবিক্তদের জন্য। দেখুননা ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেলো হঠাৎ করে। গরুর গোশত তো বছরে দু একবার হয়তো খাই সেটাও ৭৫০-৮০০ নিচে নামছে না। যদি সুস্পষ্ট বাজার মনিটরিং ব্যবস্হা ঠিক থাকে তবে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও শান্তিতে বাচতে পারতো। আশা করি এ দিকে সরকার সবসময়ই সু নজর দিবেন।