আসাদুজ্জামান সনেট,কালীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রখর রৌদ্র। তাপমাত্রা তখন ৪২ ডিগ্রি ছুই ছুই। রাস্তায় চলাচলকারী
পথচারীরা গলা শুকিয়ে কাঠ হয়েগেছে। এমনি মুহুত্বে ঠান্ডা শরবত নিয়ে পথচারীদের তৃষ্ণা মেটাতে পাশে দাড়ালেন আলোকিত ‘৯৭ এসএসসি ব্যাচ বন্ধুমহলের সদস্যরা। তাদের দেওয়া এক গ্লাস ঠান্ডা শরবতেই যেন
নতুন জীবন ফিরে পেলো পথচারীরা। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আলোকিত বন্ধু সদস্যরা সারাদিনে তৃষ্ণার্থ পথচারীদের মাঝে ১হাজার ৮’শ গ্লাস ঠান্ডা লেবুর সরবত ও ১হাজার পিচ স্যালাইন বিতরণ করেন।
ওইদিন সকালে তাদের এই মহতী কাজের উৎসাহ যুগিয়ে কার্যক্রমের
উদ্ধোধন করেন কালীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। তিনি
বলেন, আমাদের এই যুবকেরা মানবিকতার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
এমন আরো মহৎ কাজে তিনি তাদের পাশে দাড়ানোর প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
আয়োজক আলোকিত ৯৭ ব্যাচের প্রধান কামরুজ্জামান তোতা জানান,
প্রকৃতি তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। প্রচন্ড গরমের খরতাপে
জনজীবন আজ অতিষ্ঠ। কিন্তু তারপরও শ্রমজীবী মানুষেরা রুটি রুজির
তাগিদে বাইরে বের হতে হচ্ছে। তাদের চলার পথে সাময়িক পিপাসা
মেটাতে সংগঠনের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। তাদের দেওয়া শরবত পান করা পথচারী
আসলাম হোসেন জানান, মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে শহরে
ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। দুপুরে প্রচন্ড খরার মধ্যে আলোকিত ‘৯৭
ব্যাচের কিছু যুবক তাদেরকে পরম যতেœ লেবুর শরবত পান করিয়েছেন।
এমন সেবামুলক উদ্যোগ তার বেশ ভালো লেগেছে। শরিফুল ইসলাম নামে
এক রিকশা চালক বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরে রিস্কা চালান। প্রচন্ড
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে শরবত কিনে খেতে ২০/৩০ টাকা ব্যয় হয়। আজ এই
ভাইয়েরা ফ্রি শরবত খাওয়ালো তাদের জন্য দোয়া করি।
উপজেলার মালিয়াট গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মানবিকতার ভূয়সী
প্রসংসা করে বলেন, এমন চিত্র সচরাচর দেখা যায় না। বন্ধু মহলের
সেচ্ছাসেবী যুবকদের এ উদ্যোগ মানবিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিকাল পর্যন্ত কাঠফাটা রৌদ্রের মধ্যে এই মহতী সেবা প্রদানকালে
এসএসসি আলোকিত ‘৯৭ ব্যাচের তরিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম,
জাহাঙ্গীর হোসেন, আজাদ হোসেন, লাভলু, শাহীন, রানা, হিরো ও
আলমগীর সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ওই ব্যাচের সদস্য তোতা আরো জানান, তাদের ব্যাচের বন্ধুরা বিভিন্ন
সময়ে নানাবিধ মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকে। তাদের ফ্রী মেডিক্যাল দুই হাজার তৃষ্ণার্ত পথচারীদের
ঠান্ডা শরবত খাওয়ালো আলোকিত-৯৭
ব্যাচ
নাজমুল হাসান নাজিম, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি \
প্রখর রৌদ্র। তাপমাত্রা তখন ৪২ ডিগ্রি ছুই ছুই। রাস্তায় চলাচলকারী
পথচারীরা গলা শুকিয়ে কাঠ হয়েগেছে। এমনি মুহুত্বে ঠান্ডা শরবত নিয়ে
পথচারীদের তৃষ্ণা মেটাতে পাশে দাড়ালেন আলোকিত ‘৯৭ এসএসসি
ব্যাচ বন্ধুমহলের সদস্যরা। তাদের দেওয়া এক গøাস ঠান্ডা শরবতেই যেন
নতুন জীবন ফিরে পেলো পথচারীরা। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আলোকিত বন্ধু সদস্যরা সারাদিনে তৃষ্ণার্থ পথচারীদের মাঝে ১হাজার
৮’শ গøাস ঠান্ডা লেবুর সরবত ও ১হাজার পিচ স্যালাইন বিতরণ করেন।
ওইদিন সকালে তাদের এই মহতী কাজের উৎসাহ যুগিয়ে কার্যক্রমের
উদ্ধোধন করেন কালীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। তিনি
বলেন, আমাদের এই যুবকেরা মানবিকতার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
এমন আরো মহৎ কাজে তিনি তাদের পাশে দাড়ানোর প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।
আয়োজক আলোকিত ৯৭ ব্যাচের প্রধান কামরুজ্জামান তোতা জানান,
প্রকৃতি তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। প্রচন্ড গরমের খরতাপে
জনজীবন আজ অতিষ্ঠ। কিন্তু তারপরও শ্রমজীবী মানুষেরা রুটি রুজির
তাগিদে বাইরে বের হতে হচ্ছে। তাদের চলার পথে সাময়িক পিপাসা
মেটাতে সংগঠনের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ। তাদের দেওয়া শরবত পান করা পথচারী
আসলাম হোসেন জানান, মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়ি থেকে শহরে
ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। দুপুরে প্রচন্ড খরার মধ্যে আলোকিত ‘৯৭
ব্যাচের কিছু যুবক তাদেরকে পরম যতেœ লেবুর শরবত পান করিয়েছেন।
এমন সেবামুলক উদ্যোগ তার বেশ ভালো লেগেছে। শরিফুল ইসলাম নামে
এক রিকশা চালক বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরে রিস্কা চালান। প্রচন্ড
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে শরবত কিনে খেতে ২০/৩০ টাকা ব্যয় হয়। আজ এই
ভাইয়েরা ফ্রি শরবত খাওয়ালো তাদের জন্য দোয়া করি।
উপজেলার মালিয়াট গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মানবিকতার ভূয়সী
প্রসংসা করে বলেন, এমন চিত্র সচরাচর দেখা যায় না। বন্ধু মহলের
সেচ্ছাসেবী যুবকদের এ উদ্যোগ মানবিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিকাল পর্যন্ত কাঠফাটা রৌদ্রের মধ্যে এই মহতী সেবা প্রদানকালে
এসএসসি আলোকিত ‘৯৭ ব্যাচের তরিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম,
জাহাঙ্গীর হোসেন, আজাদ হোসেন, লাভলু, শাহীন, রানা, হিরো ও
আলমগীর সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ওই ব্যাচের সদস্য তোতা আরো জানান, তাদের ব্যাচের বন্ধুরা বিভিন্ন
সময়ে নানাবিধ মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকে। তাদের ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীতে তারা কালীগঞ্জে দুই হাজার
ফলজ, বনজ এবং সৌন্দর্য বর্ধক বৃক্ষ রোপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।