তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারনে সিলেট জেলায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে কানাইঘাট,জৈন্তা,গোয়াইনঘাট সাদা পাথর এলাকাসহ ৪/৫ উপজেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।বন্যার পানি ক্রমান্বয়ে সুরমা যাদুকাটা বৌলাই নদীতে প্রবল শ্রুতের সৃষ্টি হয়ে নদীগুলো কানায় কানায় পানিতে টুইটুম্বুর।আগাম বন্যার আশংকায় জনগনকে প্রস্তুতি ও সর্তক থাকতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে প্রচারনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৩০ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলীর সহযোগিতায় প্রচারণাতে সবাইকে আগাম বন্যার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আহবান জানানো হয়।
তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ জামান জানান,নিন্মাঞ্চলে বসবাসকারীদের অনেকের আত্মীয় স্বজনরা উঁচু বাড়িঘরে বসবাস করছেন। তাদের বাড়িতে পরিবারের সকল সদস্য,গবাদি পশু,হাঁস-মুরগি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখা ভাল। আর বসত ঘরে মোমবাতি,দিয়েশলাই,খাবার পানি,শুকনো খাবার,জরুরী কিছু ওষুধ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্যালাইন,প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন ইত্যাদি ঘরে সংরক্ষণ রাখার জন্য বলা হচ্ছে প্রচারনাতে । এতে সবাই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করবে এটি ভাল উদ্যোগ।যেভাবে পানি বাড়ছে সবাইকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, উপজেলার হাওর গুলো এখনও শুকনো রয়েছে তবে পাহাড়ী ঢলের পানি হাওরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। তাই আমাদের হাওর এলাকায় বন্যা প্রস্তুতির লক্ষে সরকারি বন্যাশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ভাল এতে করে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। আর বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসাবে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশেই এই প্রচারনা করা হয়েছে।আমরা সবাইকে প্রস্তুতি থাকতে আহবান জানাই পাহাড়ি ঢলের পানি কখন এসে আক্রমণ করে বলা যায়না। বিশেষ করে যারা নিম্নাঞ্চলে বসবাস করে তাদের পুর্ব প্রস্তুতি থাকা জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান,উপজেলা সদরে বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে সর্তক থাকলে সবার জন্যই মঙ্গল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও নজরধারী রাখা হচ্ছে। বন্যার আগাম প্রস্তুতির কথা শুনে যদি কোন ব্যাবসায়ী জিনিস পত্রের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।