নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে এতিম করে আবার আমাকে শান্তনা দেয় আমরা তোমার পাশে আছি। আমার বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমি কাউকে দোষারোপ করিনি। আমি শুধু বাবা হত্যার বিচার চেয়েছি। পুলিশের প্রয়োজনে পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বলা যাবে কারা আমার বাবার প্রকৃত খুনি। আজ আমার বাবা নেই। আমি বুঝি বাবা হারানো যন্ত্রনা। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিহত আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন রঘুনাথপুর বাজারে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ১১নং রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা রাখালগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত নরাী পুরুষ অংশ নেয়। রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারমান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু, কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, নিহত এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের চোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সোহেল রানা, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ সমশেরসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, এমপি আনার কতটা জনপ্রিয় ছিল তা বোঝা যায় আপনাদের উপস্থিতি দেখে। আমরা ধারনা করছি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই হত্যার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী করছি।