বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথরখনি শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবি মেনে নিয়েছে খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত শুক্রবার বিকালে জিটিসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও খনি শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া হয়। খনির ওয়েল ফেয়ার ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জিটিসির নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী, পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্ট ইউনিটের ৭ হর্স (আয়রন ফিস্ট) সেনা কর্মকর্তা মেজর এসএম. আশিক উজ জামান , শ্রমিকনেতা নুরুজ্জামান ও মো. হাসানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি শ্রমিক প্রতিনিধি দল। জিটিসির উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন ও শ্রমিক নেতা নুরুজ্জামান দাবি মেনে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খনিতে কর্মরত বিদেশিদের কর্ম পরিবেশ, নিরাপত্তা বিধান, খনির অভ্যন্তরে অবস্থিত বিভিন্ন মাইনিং ইক্যুইবমেন্টের নিরাপত্তাসহ খনিটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা ও স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়ে জিটিসি কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাস থেখে বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ও নিয়মিত পদোন্নতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে জিটিসির অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। এই সুযোগে একটি কুচক্রীমহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। খনিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিদেশিদের নিরাপত্তা সহ খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন বন্ধের পাঁয়তারার বিষয়টি বুঝতে পেরে জিটিসি পাথর উৎপাদন ও খনি উন্নয়ন কাজ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতায় আসে। জিটিসি দ্বিতীয় দফা চুক্তির আওতায় ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাথর উৎপাদন করছে। চুক্তি অনুযায়ী ৬ বছরে তারা ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে দিবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। জিটিসি সুষ্ঠুভাবে খনি পরিচালনা করতে পারলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট পাথর উত্তোলন করা সম্ভাব হবে। এতে করে একদিকে দেশের পাথরের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হবে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।