রানা খান, শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় আবু সাইদ(২৪) নামের এক পোশাক শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক নরসুন্দরের ( নাপিত )বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নরসুন্দর নাম মো. খলিল মিয়া (২৬) । বুধবার রাত ১২টার দিকে মাওনা মধ্যপাড়া এলাকার অভিযুক্ত খলিল মিয়ার সেলুন থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহত আবু সাঈদ নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাওনা এলাকার বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার রাত ১২ টার দিকে সেলুনের মালিক খলিল মিয়া খুব দ্রুত গতিতে হেঁটে যাচ্ছিল, ওই সময় তার শরীরের পোষাকে রক্তমাখা ছিল, লোকজনের সন্দেহ হলে খলিল মিয়াকে আটকের চেষ্টা করে, খলিল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন খলিলের সেলুনে গিয়ে আবু সাঈদের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার আবু সাইদের বাড়ির মালিক বাবুল সরকার বলেন,’ ২ মাস আগে আমাদের বাসার একটি রুম ভাড়া নিয়ে একাই থাকতো আবু সাইদ। সে অবিবাহিত ছিল। অভিযুক্ত সেলুনের মালিক খলিলের বাড়িতে খলিলের বউয়ের সাথে খাবার খেতো।’খলিলের স্ত্রী খাবার রান্না করতেন। খলিলের বাড়িতে খাবার খেলেও হত্যাকাণ্ডের শিকার আবু সাঈদ আলাদা বাড়িতেই থাকতেন। তাদের সাথে কোনো দ্বন্দ্ব ছিলো কিনা তা জানা নেই।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,’ খলিলের বাসায় খাবার খাওয়ার সুবাদে তার স্ত্রীর সাথে একটা সম্পর্কের কথা শুনেছি। কিন্তু সেটা কতোটুকু সত্য সে সম্পর্কে আমার জানা নেই। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, একজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকান্ডের সাথে কে জড়িত তা তাত্ক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।