স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
খুলনার মাঠে মাঠে দুলছে রোপা আমনের শীষ। সোনালি ধানের গন্ধে ম ম করছে চারিদিক। এ পর্যন্ত আসতে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ঝরেছে। এখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আমনের শীষ। কিন্তু সেই হাসির মধ্যে কৃষকের কপালে একটু হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে বিরূপ আবহাওয়ার কারনে।ধান কর্তনে
পুর্বে অতি বৃষ্টির কারনে কৃষকের হাসি ফিকে হয়ে গেছে।
ঘৃর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তীব্র বৃষ্টির ফলে খুলনা জেলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষি ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।ফলে মাঠে থাকা পাকা আমন ধানের জমি প্রায় ডুবু ডুবু অবস্হা। ক্ষেতে রাখা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।বৃষ্টির প্রভাব কয়েক দিন থাকলে পরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের।কয়েকদিন ধরে গুড়ি গুড়ি থকলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে
শুরু হয় ভারি বর্ষণ যা দুদিন ব্যাপি স্হায়ী থাকে
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে খুলনা মেট্রোসহ জেলার নয় উপজেলায় ৯৩ হাজার ৩১৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। এতে করে গত অর্থবছরের তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ আবাদের মধ্যে খুলনা জেলার রূপসায় ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, দিঘলিয়ায় ১ হাজার ৯২০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর, তেরখাদায় ৯০৫ হেক্টর, দাকোপে ১৯ হাজার ১৩৫ হেক্টর, কয়রায় ১৪ হাজার ৭২০ হেক্টর, ফুলতলায় ১ হাজার ৪৩০ হেক্টর, দৌলতপুরে ৬৭ হেক্টর ও লবণচরায় ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে খুলনা মেট্রোসহ নয়টি উপজেলায় ৯২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়। আর আবাদের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৯২ হাজার ৫২০ হেক্টর।