লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
লালমনিরহাটের সাপ্টিবাড়ী বাজারে মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় শহীদুল ইসলাম নামে
এক মাংস বিক্রেতাকে দা দিয়ে কুপিয়েছেন সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মো. হয়রত আলী । এ ঘটনায় হজরত আলীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করে সাপ্টিবাড়ি মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রভাষক হজরত আলীর শাস্তির দাবীতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে আহত মাংস বিক্রেতা শহিদুলের পরিবার ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। এ ঘটনায় শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম পচাঁ বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় মাংস বিক্রতা শহীদুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই প্রভাষকের এমন আচরণে হতবাক সাপ্টিবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
অভিযোগে জানা যায়, সাপ্টিবাড়ি কলেজের কৃষিশিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. হযরত আলী ঘটনার দিন শনিবার সকালে সাপ্টিবাড়ি বাজারে গরুর মাংস ক্রয় করতে যান। মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় মাংস ব্যবসায়ী শহীদুলের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ওই কলেজ শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে কসাইয়ের ধারালো দা দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় আহত কসাইকে বাজারের লোকজন উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাতেই আদিতমারী থানায় শহিদুলের বড় ভাই সিরাজুল বাদী হয়ে কলেজ প্রভাষক হজরত আলীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মানববন্ধনে কলেজ প্রভাষক হজরত আলীর শাস্তির দাবী জানিয়ে আহত শহিদুলের আত্মীয় স্বজনরা তাকে ঝাড়ু উচিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে তারা বলেন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত হজরত আলীকে গ্রেফতার করা না হলে বড় রকমের আন্দোলন করা হবে।
মাংস বিক্রেতা শহিদুলের বড়ভাই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমার ছোট ভাই দির্ঘদুন থেকে সাপ্টি বাজারে মাংস বিক্রি করে আসছে। কোনদিন কারও সাথে কোন কটুকথা হয়নি। হিংসাত্বক মনোভাবের কারনেই ওই কলেজ প্রভাষক আমার ভাইকে কুপিয়েছে। তার মাথায় ১৬টি সেলাই পড়েছে। বর্তমানে আমার ভাইয়ের অবস্থা আশস্কাজনক।
সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাংসে একটু চর্বি বেশি দেয়ায় তার সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে দা দিয়ে কোপানোর বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার সম্মান ক্ষুন্ন করতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।