তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।
দুই যুগ ধরে দুর্ভোগে থাকা বড়খলা গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে খালের উপর নিজস্ব অর্থায়নে ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করলেন বালিজুরী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আজাদ হোসাইন।
আজাদ হোসাইন বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বালিজুরী ইউনিয়নের হাজারো মানুষের সমর্থনে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন।
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পিছিয়ে থাকা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম বড়খলা। হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক পরিবারের বসবাস এই বড়খলা গ্রামের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো গ্রামের মধ্যেখানে খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের।
বড়খলা গ্রামবাসীরা দীর্ঘ দিন হতে গ্রামের সম্মুখে খালের উপর ব্রীজ নির্মানের দাবি জানিয়ে আসলেও বিগত দুই যুগেও তাদের দাবি পূরণ হয়নি। ফলে প্রতি বছর নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের তৈরি সাঁকো ব্যবহার করে উপজেলা সদর ও শহরে যাতায়াত করে। ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে বই-খাতা নিয়ে পড়তে যাওয়া স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং বাজারে আসা-যাওয়া করে গ্রামবাসী।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা নিজেদের ভোট ব্যাংক মনে করে তাদের ভোট নিতে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও ভোটের পর কেউ কথা রাখেনি। দেখা মিলেনা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির। বাধ্য হয়েই প্রতি বছর বর্ষা শুরুর পূর্বে গ্রামবাসীরা অর্থ সংগ্রহ করে (সাঁকো) নির্মাণ করেন।
বড়খলা গ্রামের রতিন্দ্র বর্মন বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান ঘটেছে গতকাল। এ জন্য আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ হোসাইনের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বড়খলা গ্রামের প্রবীন মুরব্বী নিবারন সরকার বলেন, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আমাদের দাবি ছিল খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের। কিন্তু কেউ কথা রাখে নি। অবশেষে এ ইউনিয়নের সন্তান আজাদ নিজ উদ্যোগে ব্রীজ নির্মাণের ঘোষণা করায় আমরা খুবই আনন্দিত।
বালিজুরী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জনাব, ময়না মিয়া বলেন, উপজেলার অন্যান্য গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও আমরা উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছি। ব্রীজটি নির্মাণ হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলা শহরের সাথে আমাদের যোগাযোগ দ্রুত হবে।
বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতার জানান দিয়ে মো. আজাদ হোসাইন জানান, স্রেফ জনসেবার লক্ষ্যেই প্রার্থী হচ্ছি। আমার পাওয়ার কিছু নেই। মহান আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। এখন বাকি জীবন জনসেবায় কাটিয়ে দিতে চাই। জনগণের সম্পদ হরিলুটের ধারা পালটে সেবার দোয়ার উন্মোচন করতে চাই। সরকারি বরাদ্দ যথাযথভাবে তৃণমুলের অসহায় মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে চাই।
আজাদ হোসাইন বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ জন্মেছে এলাকার মানুষের সমর্থন ও আশ্বাসের কারণে। এলাকার মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমি বালিজুরী ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরের মানুষের সাথে সু-সর্ম্পক রক্ষা করে কাজ করছি। অসহায় গরীব মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভোটারদের একজন খাদেম মাত্র। আমি মানুষের সেবক হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।