স্টাফ রিপোর্টার নয়ন ঘোষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পুলিশ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ নাগরিকদের সম্মিলিত প্রয়াসে উৎসব ও আনন্দ মুখর পরিবেশে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব। এ ছাড়াও শিবগঞ্জ, নাচোল, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর উপজেলায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।
১৬ ডিসেম্বর ভোরে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিন। পরে শহরের ২ নং ওয়ার্ডের শহীদ মনিমুল হক সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখান থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শহর ঘুরে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের সামনের শহীদদের স্মৃতি নামফলকও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সর্বস্তরের জনগণ।
এ সব কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচ এম আব্দুর রকিব বিপিএম পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব এরফান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোখলেসুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তাগণসহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ।
অপরদিকে বিকেলে ডা. আ.আ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে ৩০ হাজার জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়। জেলা পুলিশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা ছিলো না। স্বাধীনতার পর এত লোক সমাগম আর হয়নি। ৫০ বছরের পূর্তিতে তাই দেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আজকের এই লোক সমাগম।
ভার্চুয়ালি সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। এই হোক সকলের প্রত্যাশা।