স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনে দাকোপে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষিত।
সরকারী দু’টি অফিসে উঠেনি জাতীয় পতাকা। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা জনপ্রতিনিধিসহ সকল মহলের তীব্র নিন্দা।
গত ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সারাদেশের ন্যায় দাকোপে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম ছিল সকল সরকারী বেসরকারী ভবনে জাতীয পতাকা উত্তোলন। কিন্তু উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে দিনভর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন স্থানীয় এক সাংবাদিক বিষয়টি দেখে তার ফেইজবুকে পেইজে দু’টি ভবনে জাতীয় পতাকা না উঠানোর ছবিসহ বিষয়টি তুলে ধরলে উপজেলা বাসীর মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোবাইলে ওই সাংবাদিককে ১০ মিনিটের মধ্যে পোষ্টটি সরিয়ে ফেলার কথা বলেন। পোষ্টটি না সরানো হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। মহান বিজয় দিবসের গৌরব গাথা এই দিনে সরকারী কর্মকর্তাদের এমন ঔদ্বাত্যপূর্ন আচারনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দাকোপ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোহিত লাল রায় বলেন, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই। দাকোপ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় এটাকে সরকারের বিরুদ্ধাচারন দাবী করে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। অভিযোগে বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান খান মোবাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, কৃষি অফিসে কি পতাকা উত্তোলন হওয়ার কথা, কৃষি অফিস সরকারী ১৭টি হস্তান্তরিত অফিসের একটি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মাহমুদ হোসেন বলেন, এবারের মত বিষয়টি আসলে আমাদের ভূল হয়েছে ভবিষাতে এ ধরনের ভূল আর হবেনা। সরকারী দপ্তরে পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুতি মূলক সভায় সকল কর্মকর্তাদের যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন যারা এহেন ঘৃনিত কাজের সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্থির দাবী জানান।