মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম ও পর্যটকদের প্রধান আর্কষণ লাল শাপলার ০৪ টি বিল। বিলের হরফকাটা ও কেন্দ্রী বিলের বিভিন্ন অংশ দখল করে লাল শাপলা ধ্বংস করে ভূমি খেকু চক্রের সদস্যরা জমি দখলে অপতৎপরতার জন্য ধান রোপন করলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা পর্যটন কমিটি নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলার পর্যটনের অন্যতম স্থান হচ্ছে ডিবির হাওর লাল শাপলার ০৪ টি বিল। ২০১৫ সাল হতে (হরফকাটা বিল, ইয়ামবিল, কেন্দ্রীবিল ও ডিবিবিল) ০৪ টি বিল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে পর্যটকদের আর্কষণ করে তোলা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল হতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা লাল শাপলার সৌন্দর্য্যের উপভোগ করতে ঢল নামে। সম্প্রতি ভূমি খেকু চক্রের সদস্যরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রী বিলের প্রায় ৫০ একর ভূমি সুকৌশলে দখল করে নানা প্রকারের ফসল আবাধ করছে। অপরদিকে কেন্দ্রী বিলের বর্তমান লাল শাপলা অংশের প্রায় ১০ একর জায়গা দখল করে ধান রোপণ করছে। হরফকাটা বিলের মধ্য অংশ দখল করে ধান রোপণ অব্যাহত রেখেছে। ধান রোপণ কার্যক্রম চলমান রাখা হলে আগামী ১০ হতে ১৫ দিনের মধ্যে হরফকাটা বিলটি সম্পূর্ণরূপে বিলিন হয়ে যাবে এবং লাল শাপলা চিরতরে বিলটি হতে বিলুপ্ত ঘটবে।
পর্যটন ও পুরার্কীতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, বিলগুলোর কারণে আজ জৈন্তাপুর উপজেলার পরিচিতি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন করে স্থান পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে আজ লাল শাপলা বিলুপ্ত করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট মহলকে অবৈধ দখলের হাত হতে ০৪ টি বিল রক্ষা করার জোর দাবী জানাচ্ছি। ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, বিল রক্ষার জন্য অচিরেই আমরা সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, স্থানীয় কয়েকজন আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন আমি উপজেলা পর্যটন কমিটিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।