রামবসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশে’র নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিসি মহোদয় দাবি করে বলেন, “রবীন্দ্র কাছারি, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসলেই শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সার্থকতা হবে” বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিসি মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষা কার্যক্রমের গতিশীলতা আনা এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রচেষ্টাসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, দু’বছর বন্ধ থাকার পরে আজ মঙ্গলবার থেকে ৫টি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ ফিরে এসেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছন্দ ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাণবন্ত করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে এবং মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে মহান বিজয় দিবস বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। ওই দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র সাথে শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ ও শাহজাদপুরে কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল লতিফ, রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা পরিচালক শিবলি মাহবুব, শিক্ষকবৃন্দ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এ সময় ভিসি মহোদয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। “স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ কত দিন নাগাদ শুরু হতে পারে” Cannel ATV Canada ও দৈনিক তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি মির্জা হুমায়ুনের প্রশ্নের জবাবে ভিসি মহোদয় বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে জানান। সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, প্রথম সাক্ষাতে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম, “শিক্ষার্থীদের শিক্ষাই আমার প্রধান বিবেচ্য বিষয়।” সেই কাজটি আমি আজকেই শুরু করতে পেরেছি বলে নিজেকে আত্মতৃপ্তবোধ করছি। এ ব্যাপারে আমার শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতা আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। কারণ তারা শীতকালীন ছুটি গ্রহণ না করে আজকের পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং বরাবরই তা করবেন। ভিসি মহোদয়ের এ উদ্যোগকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং শাহজাদপুরবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন।