মোঃ আসাদুজ্জমান আপেল পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস ইজিবাইক চালক লতিফ হত্যা মামলায় তদন্ত শেষে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএস সপিকুল ইসলাম।
এর আগে গত শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বোদা উপজেলার বেংহারি ইউনিয়নের কল্লাকাটা নামক ফাকা জায়গায় বাদাম ক্ষেত থেকে লতিফুল ইসলামের (২২) এর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হত্যার সময় ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও ইজিবাইকটি হত্যাকারীরা নিয়ে যায়।
এর প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মামা নুর ইসলাম গত ১৮ ডিসেম্বর বোদা থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলার দায়ে করে।
পুলিশ গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সরাসরি হত্যাকান্ডের সাড়ে জড়িত বোদা উপজেলার সইমনপাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০) ও সুভাসুজন ঝেরঝেরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মেহেদী হাসান মিলনকে (১৯) গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা একজন পলাতক রয়েছে।
এর পর তাদের দেয়া তথ্য মতে
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে আরো ৪ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অপর ৪ আসামীরা হলেন, বোদা উপজেলার দয়াদিঘী কান্তমনি বাসডাঙ্গা এলাকার হাসান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), সাকোয়া বীরপাড়া এলাকার মৃত শাহাদাতের ছেলে রবিউল আলম (২৮), ইসলামবাগ এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে রিংকু ইসলাম (৩৩) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ বাজারপাড়া এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে মাজেদুল হক (৩০)।
এরা সবাই চোরাই ইজিবাইক ক্রয় বিক্রেতা। এদের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম সপিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয় এবং নিজে দোষ শিকার করে। তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের তথ্য মতে হত্যা করার পর অটো ইজিবাইকটি আসামী রবিউল ইসলামের (৪০) কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এদিকে ভিকটিমের মোবাইফোন উদ্ধারসহ তাদের নিকট থেকে ইজিবাইকের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা একজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।
২২/১২/২০২১