মোস্তফা কামাল শ্রাবনঃ কেরু,র চিনিকলের কয়েক লক্ষ টাকার সার কীটনাশক হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা চুক্তি ভিত্তিক করণীক জুয়েল লাপাত্তা। এই ঘটনায় ব্যবস্হাপনা কর্তৃপক্ষ তাকে চাকুরীচুত্য করেছে বলে জানাগেছে জানা গেছে, কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স ক্ষমতায় থাকা কালীন তার সহদর জহুরুল ইসলাম জুয়েলকে চুক্তিভিত্তিক করণীকের চাকরি দেয়। মিলসগেট পূর্ব সাবজোনে তার কর্মস্থল। স্বাভাবিকভাবেই সাবজোন অফিসে চাষীদের মাঝে ঋনের মাধ্যমে সার বিতরনের জন্য সাপ্লাই অর্ডার বই সংরক্ষিত থাকে। এছাড়াও সিডিএদের কাছে এই বই থাকে। সিডিএ রাই এই সাপ্লাই অর্ডারের মাধ্যমে চাষির স্বাক্ষর সহ সিডিএ ও কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর গ্রহনের পর সাপ্লাই অর্ডারের কপি চাষিকে প্রদান করে থাকে। এরপর চাষি সার গোডাউনে তা দাখিল করে সার উত্তোলন করতে পারে। সিডিএরা বিভিন্ন সময় সাপ্লাই অর্ডার বই সাবজোন অফিসে রেখে চায়ের দোকানে কিংবা অন্য কোন কাজে আশেপাশে চলে যায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাবজোনের অধিকাংশ সিডিএ’ র সাপ্লাই অর্ডার বইয়ের পাতা চুরি করে সেখানে ভুয়া চাষি সেজে সিডিএ এবং কর্মকর্তাদের জাল স্বাক্ষর করে কৌশলে প্রায় ৮/৯ লক্ষ টাকার সার, কীটনাশক উত্তোলন করে বিক্রি করে দিয়ে প্রায় ৮/১০ দিন লাপাত্তা হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জুয়েলের সহযোগী হিসাবে একজন ব্যাংকারের সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি জুয়লের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। ২০২০-২১ আখ মাড়াই মৌশুম থেকে জুয়েল এমন কাজ করে আসলেও তা চলতি ২০২১-২২ রোপন মৌশুমে এসে একে একে প্রকাশ পেতে থাকে। একটি সূত্র থেকে জানা যায় জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
ইতি পূর্বেও কেরু চিনিকলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চিনিকলের একজন নিম্নমানের কর্মচারী। তার বিরুদ্ধেও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। চিনিকলগুলো যখন ধারাবাহিক লোকসানের কারনে সরকার ইতিমধ্যে ২০২০-২১ মাড়াই মৌশুম থেকে ১৫ টি চিনিকলের মধ্যে ৬ টি চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে তারপরও থেমে নেই লুটপাট। টেন্ডারে মালামাল ক্রয় থেকে সর্বত্র চলছে দুর্ণীতি। এ যেন হরিলুটের কারখানায় পরিণত হয়েছে।