মোঃ আরিফুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় জরিনা বেগম নামে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পুলিশ।বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে ক্লু লেস এ হত্যাকাণ্ড ও আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামী আবুল কালামকে গত বৃহস্পতিবার রাতে মাটিরাঙ্গাতে ৭ দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ও মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী নেতৃত্বে মাটিরাঙ্গার বাজারস্হ হাসপাতাল রোডের মোড় থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ভিকটিমকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও পরতর্তীতে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে ভিকটিম জরিনা বেগমকে
হত্যা করে।
আসামী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর ভিকটিমের বসত বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর নিহতের ছেলে মাটিরাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামীদের নামে মামলা করেন।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলী জানান,মামলা তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপনীয় তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার চৌকস পুলিশ অফিসারদের সহায়তায় পূর্বের অসংখ্য ক্লু লেস মামলার রহস্য উদঘাটনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিকে দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করা হয়।পরবর্তী সময়ে মাটিরাঙ্গা হাসপালাত মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত মোঃ আবুল কালাম প্রকাশ রদ্দা কালামকে গ্রেফতার করা হয়।