কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর আদর্শ বাজার নামা-হাইল্লা গ্রাম সংলগ্ন দুধকুমার নদী খননের বালু অবৈধভাবে ফসলী জমিতে রাখতে বাধাঁ দেয়ায় বালু ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন গংদের বেদম মারধরে একজন কৃষক আহত। ফসলী জমিতে বালু রাখায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বসতবাড়ীতে পানি উঠায় দুর্ভোগের শিকার অনেকে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলাধীন নাগেশ্বরী উপজেলার পুর্বপাশ্বে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের আদর্শ বাজার নামা-হাইল্লা গ্রাম সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ আওতায় বঙ্গ নামে একটি ড্রেজার জাহাজ দুধকুমার নদী খননের বালু নদীর পূর্বচরে না রেখে বিধিমালা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী ও খামার হাসনাবাদ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমজাদ হোসেন মাস্টারের সাথে আতাত করে আদর্শ বাজার নামা-হাইল্লা গ্রামের ফসলী জমিতে বালু ভরাট করে আসছে। আমজাদ হোসেন মাস্টার ফসলী জমির ভরাটকৃত বালু বিক্রি করে ফায়দা লুটিয়ে নিচ্ছেন। ফসলী জমিতে জোর পুর্বক বালু রাখার কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বসতবাড়ীতে পানি উঠায় দুর্ভোগের শিকার কৃষক দেলদার হোসেন বালু রাখতে বাধাঁ দেয়ায় তাকে আমজাদ মাস্টার ও তার দলবল বেদম মারধর করে আহত করে। বর্তমানে দেলদার হোসেন গুরুতর আহত হয়ে নাগেশ্বরী হাসপাতাল ভর্তি আছেন।
ভুক্তভোগী দুলাল, মাইদুল, কালু, ফজিরন, আছিয়া বেগম জানান, নদী খননের বালু নদীর পূর্বচরে না রেখে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক আমজাদ হোসেন বালু বিক্রি করে তার ফায়দা লাভে নিজের জমি সংলগ্ন অন্যর ফসলী জমিতে জোর পূর্বক বালু রাখায় বসতবাড়ীসহ ফসলী জমির ক্ষতিগ্রন্থ হচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় প্রভাবশালী ও খামার হাসনাবাদ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, অনেক তদবির করে এ নদী কাটিং পাশ করে এনেছি এবং নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে জমিতে বালু রাখা হচ্ছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।