মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরা ::
সুন্দরবনের পাশে কুলতলীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে বাঘ। আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘটি ঢুকেছে। বাঘ যাতে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় না যেতে তাই গ্রামের তিনদিক জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছে বনকর্মীরা। ফাঁকা রাখা রয়েছে ঠাকুরাণ নদীর দিকটি। যাতে বাঘ পূনরায় বনে ফিরে যেতে পারে। এছাড়াও গ্রামের মধ্যে দুটি লোহার খাঁচা পেতেছে বনদফতর। খাঁচায় টোপ দেওয়া হয়েছে দুটি ছাগল। এদিকে গ্রামে বাঘ ঢুকে যাওয়ায় দরজা-জানালা বন্ধ করে আতঙ্কে দিন কাটচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না শিশুদের।গত পাঁচ দিন ধরে লাগাতার চেষ্টার পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে বাঘ। বনের অবস্থান নির্ণয় করে চলছে বাঘ ধরার চেষ্টা। যদিও বাঘের সঠিক অবস্থান জেনে জালে আনার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ার পর বনকর্মীদের আশা, দ্রুত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ধরা পড়বে।সোমবার সকাল থেকে নতুন করে ফের তল্লাশি শুরু করেন বনকর্মীরা। জঙ্গলের তিন কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েল বেঙ্গলটি লুকিয়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত বন দপ্তর। এই তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন করে জাল পাতা হয়। পাশাপাশি গাছের ওপর মাচা বেঁধে পাহারা দিতে থাকেন বনকর্মীরা।বন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাঘকে জালে আনার জন্য যে নীরবতা এবং নিখুঁত পরিকল্পনা প্রয়োজন, তা রয়েছে। গুলি নিয়ে প্রস্তুত বন দপ্তরের দুটি আলাদা টিম। চারপাশে নীরব পরিবেশও রয়েছে।খিদের টানে লোকালয়ের কাছাকাছি এলেই বাঘটি জালে ধরা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জালে টোপ হিসেবে ছাগল রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, এদিন সকালেও বাঘের গর্জন শোনা গেছে। রবিবার বাঘের আতঙ্কে জঙ্গল থেকে পালাতে গিয়ে পড়ে জখম হয়েছেন একজন।