মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ভোট পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রুহিয়া থানায় রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১ নং– ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে ওসি জানান, সরকারি কাজে বাধা, প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং এবং পুলিশের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করার দায়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। মামলার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। সারা আসাননগর এলাকা ঘুরে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। ভোটের পরে জয়ের আমেজও সারা ওয়ার্ডে লক্ষ্য করা যায়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, মামলার খবর শোনা মাত্র এলাকার মানুষের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত থেকে মামলার কথা শুনে এলাকায় পুরুষ শূন্যতা দেখা দিয়েছে। রহিমা বেগম নামের এক হোটেল শ্রমিক বলেন, ভোটকেন্দ্রের গোলাগুলির ঘটনায় আমার খুব ভয় লেগেছে। এখন মামলার কথা শুনে স্বামী সন্তানদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের একদিন কাজ না করলে খাবার জুটবেনা। এখন ভোট যেন আমাদের কাল হয়ে দাঁড়ালো। খুব চিন্তায় আছি। আমি অনুরোধ করবো পুলিশ যেন শুধু দোষীদের ধরে নিয়ে গিয়ে শাস্তি দেয়। এ বিষয়ে ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ নির্দোষ কাউকে আটক বা হয়রানি করবেনা। তদন্তে যারা প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হবে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হবে এবং এলাকাবাসী ও সাধারণ ভোটারদের জন্য নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে ‘কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে বের হওয়ার সময় ভোটের ফলকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর লোকজন প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নির্দেশে গুলি করা হয়। এতে স্থানীয় তসীর উদ্দীনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ