এ.এইচ কামরুল, চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক আহসান আলম কে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার আসামী সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় (আউটসোর্সিং) রাসেলকে (২৫) গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। বুধবার দুপার ১২টার সময় প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস।
প্রেস বিফ্রিং এ তিনি জানান, বুধবার (০৫ জানুয়ারী) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে শহরতলীর মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর থেকে আসামী রাসেলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সে হত্যাচেষ্টার ঘটনা স্বীকার করেছে। সাংবাদিক আহসান আলমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণের আংটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃত রাসেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের ফায়ার সার্ভিসপাড়ার সাগর আলীর ছেলে।
এর আগে রোববার (০২ জানুয়ারী) ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় রাসেলের সঙ্গে আস্থা প্রকল্পের আয়া বৃষ্টির অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ’ শিরোনামে ‘ স্থানীয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল’ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আহসান আলম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভেতরে চা পান করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় আহসান আলমকে স্বাস্থ্যকর্মী রাসেল তার এবং বৃষ্টির অনৈতিক সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে আহসান আলম সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। পরে, রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে জখম করে এবং আঙ্গুলে থাকা স্বর্ণের আংটি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে হাসপাতালে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়রা আহসান আলমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। সেই দিন দুপুরেই রাসেল হোসনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস আরও বলেন, সাংবাদিক আহসান আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রজু করা হয় এবং তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদপত্র সাংবাদিক পুলিশের কাজের সাথে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। সংবাদপত্রকে আমাদের রাষ্ট্রের ফোরষ্টেট্র বলা হয়। কারণ সমাজের যেসকল বে-আইনী কার্যক্রম বা অসংযোনতা কর্যক্রম তুলে ধরে এবং আমরা আইনী ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রাস্তায় অসময়ে যখন কেউই কোথাও থাকে না; তখন পুলিশ এবং সাংবাদিক আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সংঙ্গে রাস্তায় ও ফিল্ডে থাকি। সেই জন্য পুলিশ সুপার স্যারের নেতৃত্বে সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা জেলা পুলিশ এই বিষয়টি তদন্ত করি এবং পুলিশের একাধীক টিম দিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখি। ৫ জানুয়ারী সকাল পৌনে ১১ টার দিকে আসামী রাসেলকে মাথাভাঙ্গা ব্রীজের উপর থেকে গ্রেফতার করি। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। মামলা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।