লিপন খান , কিশোরগন্জ প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আমার রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষা গুরু। আমার ভাই সৈয়দ আশরাফ তিনি তার পিতার আদর্শ থেকে এক চুল ও বিচ্যুতি হননি। আমার ভাইকে আমি একটি প্রশ্ন করেছিলাম আমাদের প্রতি তোমার কোন নির্দেশনা আছে কিনা – তখন তিনি আমাদের জন্য দুটো কখা বলে গেছেন, তিনি বলেছেন সবসময় মনে রাখবা তোমার শরীরে কার রক্ত, তুমি মনে রাখবা তোমার শরীরে বহমান জাতীয় চার নেতাদের অন্যতম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলের রক্ত। আশা করি তোমাকে আর কিছু বলে দিতে হবেনা। আর উপদেশ হিসেবে তিনি বলেছিলেন অনেক বেশি পড়াশোনা করবে । যত বেশি পড়াশোনা করবে তত বেশি ঞ্জানী হবে তত বেশি বুদ্ধিদ্বীপ্ত হবে আর তত বেশি ডিসিশন নিতে তোমার সুবিধা হবে। আমি আমার ভাই এর সেই দিক নির্দেশনা পালন করে আসছি। এমপি আরো বলেন, আমার ভাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের পর যখন চার দিক সৈরাচারি সরকার বিভিষিকাময় সময় পার করছে তিনি তা বরদাস্ত করতে পারেননি । তখন তিনি চলে গেলেন লন্ডনে। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আর তার ছোট বোন শেখ রেহেনার সাথে দেখা করতে। অনেক কষ্ট করে তিনি সেখানে পারি জমান । তার পর কুচক্রি সরকার আমার ভাইকে ২৫ টি বছর দেশে আসতে দেয়নি। তখন আমি দেখেছি দেশে আসার জন্য আমার ভাইএর যে কি আখাংকা কিন্ত দেশে আসার জন্য কোন পথই খোলা ছিলনা। কিন্তু তারপরও তার মন থেকে ১ দিনের জন্যও বাংলাদেশের মানুষকে ভুলে যাননি। আমার ভাই সৈয়দ আশরাফ দেশকে দেশের মানুষকে এতই ভালোবাসতেন। তিনি সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ
রেহেনাকে নিয়ে বাঙ্গালীদের সুসংগঠিত করেছিলেন। ৭৫ এর হত্যার বিচার
চেয়েছেন। পরে তিনি ১৯৯৪ সালে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে তার
চোট্ট কন্যাটিকে পেছনে ফেরে চলে আসেন জননেত্রীর ডাকে দেশের মায়ায়। তিনি আরো বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমার ভাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করে ছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য তার পাশে থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। এমপি বলেন, আমার ভাই এর নির্দেশনাকে সামনে রেখে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ
হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করবো এঁটাই আজ আমার প্রত্যাশা আপনাদের কাছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ
আশরাফুল ইসলাম ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে হেসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে শুক্রবার সন্ধ্যায় আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কিশোরগঞ্জ ১ ( সদর- হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এসব কথা বলেন।হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম নূরু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও
ভাতৃপ্রতিম এ আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।