এম এ হানিফ রানা, স্টাফ রিপোর্টার
২০ বছর ধরে পেটে কাঁচি বয়ে বেড়ানো সেই বাচেনা খাতুনের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এ অপারেশন সম্পন্ন হয়।
পেট থেকে কাঁচি বের করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ৫ জানুয়ারি ভর্তি হন বাচেনা খাতুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এতদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। সোমবার (১০ জানুয়ারি) তার শরীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অস্ত্রোপচারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বলেন, ‘রোগীটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অপারেশন করা হয়েছে। পেট থেকে বের করা হয়েছে সেই কাঁচিটি। বর্তমানে রোগী সুস্থ আছে। তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
ডাক্তারের ভুলের খেসারত দেওয়া বাচেনা খাতুনের ক্ষতিপূরণসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
উল্লেখ্য, পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাচেনা খাতুন। ২০০২ সালের ২৫ মার্চ ওই ক্লিনিকে তার অপারেশেন করে ক্লিনিক মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা। সে সময় পেটের মধ্যে একটি ৯ ইঞ্চি কাঁচি রেখেই সম্পন্ন করা হয় অপারেশন। এরপর কেটে গেছে ২০টি বছর। ২০ বছর ধরেই ডাক্তারের ভুলের খেসারত দিচ্ছিলেন বাচেনা খাতুন।