গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.রহমত আলী
“ঠান্ডাত কষ্টে আচুনু। তারপুর বৃষ্টি আর বাতাসে গা থাইকি শীত য্যায়না। কম্বল খানি প্যায়া বাচনু বাবারে।” বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল পেয়ে কথাগুলি বলছিলেন নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় খোয়ারপাড়া মহল্লার ১১০ বছর বয়সী বৃদ্ধা রুপম বিবি।
বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও কালের কন্ঠ শুভ সংঘের আয়োজনে বুধবার দুপুরে গুরুদাসপুর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে পত্রিকা হকারসহ ২৫০ জন শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী।
এসময় কালের কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি এম এম আলী আককাছ, শুভসংঘের জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত ও সাধারন সম্পাদক সুষ্ময় দাস তনয়, গুরুদাসপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল হক ও সাধারন সম্পাদক বাবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল হাতে পেয়ে অসুস্থ খইমুন বিবি (৬৫) বলেন, “বাদাম বেচি খাই। কিন্ত বিচা কিনা নাই। তারপুর শীত।” কম্বল পেয়ে দোয়া করলেন বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য। এই শীতে কম্বল পেয়ে খইমুনের মতো অনেকেই খুশি হয়েছেন। তাদের চোখে মুখে ছিলো হাসির ঝিলিক। বিয়াঘাট গ্রামের বৃদ্ধ দম্পতি শহীদুল (৮৪) ও রামেছা বিবি (৭২) বলেন, “আমরা দূর গায়ে থাকি, অনেকের চোকে পড়ে না। সুম্বাদিকরা কুম্বল দিয়া শীতের কষ্ট কুমায় দিলো।” তারা বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর আগে বড়াইগ্রাম উপজেলার রামেশ্বেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় কম্বল বিতরন করেন প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন পিঞ্জু। এসময় বড়াইগ্রাম উপজেলা শুভ সংঘের সভাপতি এসএম নিয়ামুল হোসেন নির্ঝরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বড়াইগ্রামের রোলভা বাজারের রহমত মিয়া (৭০), হালিমা বেগম (৯০), সখিনা বেওয়া (৮১) সহ অনেকেই কম্বল পেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। #