তৌফিকুর রহমান হাবিবঃ-
সিলেটের সীমান্ত এলাকা বিছানাকান্দি দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ভারতীয় চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ২০২টি মোবাইল ফোন আটক করলেও চোরাচালান চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই প্রলয় রায় ও এসআই মতিউর রহমান সঙ্গিও ফোর্সদের নিয়ে গোয়াইনঘাঠ উপজেলা বাইপাস নামক স্থান থেকে মোটরসাইকেল যোগে সিলেট শহরে প্রবেশের লক্ষ্যে ২০২টি মোবাইল আটক করেছে। আটক মোবাইল গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০লক্ষ টাকা।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছানাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি মোটরসাইকেলে অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে মোবাইল এনে দেশের বিভিন্ন এলাকার মার্কেটে পাইকারি বিক্রি করতেন চোরাকারবারিরা। পরে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব গণমাধ্যমকে জানান, একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালানি দলের সদস্যরা দির্ঘ দিন থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারি ধরে মোবাইল বিক্রি করত। মূলত ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন গুলো চোরাকারবারিরা বেশি দামে সিলেটের মোবাইলের দোকানগুলোতে বিক্রি করে। ভারতের চোরাইকৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই (মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইন্ডেটি) বাংলাদেশে আসার পর শনাক্ত না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা। ভোর রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের আওতাধীন বাইপাস সড়ক দিয়ে ভারতীয় চোরাই মোবাইল গুলো
গোয়াইনঘাট বাইপাসের (মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের) সামনে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ চেকপোস্ট বসালে চোরাকারবারিরা চেকপোস্টে না থেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা মোবাইল রেখে পালিয়ে যায়।